ঈদ বকশিস ছিনিয়ে যুবককে হত্যা

গত ৫ জুন ঈদের আগের রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার আসাদগেইট এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে শেরে বাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সি জানিয়েছেন।

নিহত রমজানের (২৮) গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটে। রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে বড় বোনের বাসায় থাকতেন তিনি। রাস্তায় পার্কিং করা বা সিগনালে আটকে থাকা অথবা পাম্পে তেল- গ্যাস নিতে আসা গাড়ি মুছে কিছু টাকা পেতেন তিনি।

সংসদ ভবনের সামনে, আসাদগেট এলাকার ফুটপাতে থাকতেন রমজান, বেশিরভাগ সময় সেখানেই ঘুমাতেন তিনি।

এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে শ্রীনাথ মন্ডল ওরফে হৃদয় (১৯), আল আমীন (১৯), মো. রমজান (১৮), তাজুল ইসলাম কাজল (১৯), মো. শিপন (১৮), মো. রিয়াজ (১৯) এবং মো. ফয়সল (১৯) নামের সাতজনকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এদের মধ্যে রমজান ও আল আমীন ওই যুবককে হত্যার কথা স্বীকার করে শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে ওসি জানে আলম জানান।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গত ৫ জুন রাত আড়াইটার দিকে আসাদগেট এলাকায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা তালুকদার পেট্রোল পাম্পের পাশে ফুটপাতে রমজানকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

রাস্তার পাশে দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার পরে একজন ‍রিকশাচালক তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

ওসি জানে আলম মুন্সি বলেন, প্রথমে রমজানের পরিচয় পাওয়া যচ্ছিল না। প্রাথমিকভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হলেও তার শরীরের ক্ষতচিহ্নগুলো নিয়ে সন্দেহ ছিল।

পরে তার বোন মনিমন থানায় এসে জানানোর পর রমজানের বিস্তারিত জানা যায় এবং তদন্ত করতে গিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়, তিনি খুন হয়েছেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট শেরে বাংলা নগর থানার এসআই মো. তফাজ্জল হোসেন বলেন, “অন্য একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে একজন আসামি ধরা পড়ে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদকালে রমজান খুনের ক্লু পাওয়া যায়।

“এই সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা ছিনতাই করতে গিয়ে রমজানকে হত্যার কথা অকপটে স্বীকার করে।”

আদালত বাকি পাঁচ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে বলে ওসি জানে আলম জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ঈদের তিন থেকে চার দিন আগে রমজান তার বোনের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। ঈদের দিনও না আসায় ভাইয়ের খোঁজ নিতে ঈদের একদিন পরে বের হয়ে মনিমন জানতে পারেন, আসাদগেট এলাকায় একজন দুর্ঘটনায় মারা গেছে। পরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন তিনি।

ওসি জানান, রমজানকে চেনে এমন কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের আগের রাতে বকশিস হিসাবে রমজান তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়েছিলেন।

“তদন্তকালে জানা গেছে, রমজানের কাছে মোট ১৫০০ টাকা ছিল। তালুকদার পেট্রোল পাম্পের পাশ দিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দিকে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা তাকে আটকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

“এ সময় রমজান বাধা দিলে বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয় এবং ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর