আমেনা হত্যার বিচার চান বাবা-মা

পাবনায় মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন অসহায় পিতা-মাতা। শনিবার সকালে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, চাটমোহর উপজেলার ঝপঝবিয়া গ্রামের ময়েজ উদ্দিন মোল্লার মেয়ে শরৎগঞ্জ রইজ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আমেনা খাতুন ওরফে মায়মুনা।

সে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার শাহাদত হোসেনের স্ত্রী জহুরা খাতুনের কাছে আরবি পড়ত। প্রতিদিনের মতো গেল বছরের ৬ জুন সকালে আমেনা খাতুন আরবি পড়তে যায় জহুরা খাতুনের কাছে। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে জহুরা খাতুনের স্বামী শাহাদত হোসেন আমেনা খাতুনকে ধর্ষণ করে এ কথা কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়রা মীমাংসার আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরদিন দুপুরে আমেনা খাতুন ওরফে মায়মুনাদের বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শাহাদত বাড়িতে ঢুকে আবারও আমেনা খাতুনকে ধর্ষণ করে। বিকালে বাড়ি ফিরে আমেনা খাতুনকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত মৃত অবস্থায় দেখতে পায় তার মা।

নিহতের পিতা-মাতা দাবি করে তার মেয়েকে শাহাদত গলায় উড়না পেঁচিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় নিহতের মা তারা খাতুন বাদী হয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের কারণে সম্ভ্রমহানির প্রত্যক্ষ কারণে আত্মহত্যার প্ররোচিত করার অপরাধে শাহাদত হোসেনকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন।

আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অপরাধে মামলা করে এখন কেন মেয়েকে হত্যার পর মরদেহ ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে নিহত মাদ্রাসাছাত্রী আমেনা খাতুন ওরফে মায়মুনার পিতা ময়েজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা স্বামী-স্ত্রী অশিক্ষিত, লেখা পড়া জানি না। স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলজার হোসেন থানায় নিয়ে গিয়ে কাগজে লিখে স্বাক্ষর করতে বললে আমার স্ত্রী তারা খাতুন ওই কাগজে স্বাক্ষর করে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সামছুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর