এডিস মশা নিয়ে চবি গবেষক দলের প্রতিবেদন জমা

চট্টগ্রামে ১৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা সনাক্ত করে গবেষণার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) গত ৫ জুলাই থেকে চালানো জরিপের ভিত্তিতে নগরীর ১৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার প্রতিবেদন জমা দেয় গবেষক দল।

গবেষকদলের আহ্বায়ক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া জানান, মশক নিধনে ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর গুণগত মান পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

এর অংশ হিসেবে গত ১৪ মার্চ ব্যবহৃত ওষুধ পরীক্ষা করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারকে অনুরোধ করে চসিক।

এরপর ২৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন চবি উপাচার্য। কিন্তু দুই দফা চসিকে বাজেট পেশ করেও পাশ না হওয়ায় কাজ শুরু করতে পারেনি চবির গবেষকরা।

সর্বশেষ গত ২২ জুন বাজেট পাশ হলে ৫ জুলাই থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করে গবেষকরা। এরপর টানা ২৫ দিন ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করে নগরের ৫১টি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬টি স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে গবেষকরা। এতে ১৫টি স্পটে মিলেছে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস।

যে ১৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে তা হলো, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা মসজিদের পাশে, চান্দগাঁও ফরিদা পাড়া, কল্পোলোক আবাসিক এলাকার রোড় নং ১, ডিসি রোডের বাদশা মিয়া সওদাগর বাড়ি, ডিসি রোডের তুশার কলোনি, চাক্তাই প্রাইমারি স্কুলের পাশে, সদরঘাট থানার রেলওয়ে কলোনি।

পশ্চিম মাতারবাড়ি মাঝিরঘাট রোড, আমবাগান বাস্তুহারা কলোনি, ১৩ নম্বর রেলওয়ে কলোনি, পাহাড়তলীর দুলালাবাদের সিডিএ মার্কেট, সাগরিকার জেলে পাড়া, সাগরিকার রুপালি আবাসিক এলাকার দক্ষিণ কলোনিতে, হালিশহর এ ব্লকে ও ফইল্লাতলী বাজারের দক্ষিণ কলোনিতে।

এসব এলাকার বাড়ির ফুলের টব, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পাত্র, দোকানের ব্যাটারির সেল ও টায়ার এবং রাস্তার ধারে পাইপে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মিলেছে এডিস মশার এসব লার্ভার উপস্থিতি।

মুহাম্মাদ হুমায়ুন চৌধুরী/বার্তা বাজার/এসবি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর