সরকারের উন্মাদ সিদ্ধান্ত আসে হেমায়েতপুর থেকে: ফখরুল

কঠোর লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহণ বন্ধ রেখে গার্মেন্টস, শিল্প কারখানা খুলে দেয়া সরকারের হঠকারি সিদ্ধান্ত, বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকারের এই উন্মাদ সিদ্ধান্ত আসে হেমায়েতপুর থেকে। করোনার ব্যর্থতা নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।

রবিবার (১ আগস্ট) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে একথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, মানুষ করোনা পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতাল ও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছে। কিন্তু সরকারের নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে বেশিরভাগ মানুষ করোনা টেস্ট করাতে পারছে না। শুরু থেকেই স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে দেশের মানুষের কাছে সঠিক তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে না। অন্য দিকে সংক্রমিত ব্যক্তিরা হাসপাতালে বেড ও অক্সিজেন পাচ্ছে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে করোনা সংক্রমিত রোগীরা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে মৃত্যু বরণ করছে। জেলা হাসপাতালগুলোতে পরিস্থিতি উন্নয়নের কোনো প্রচেষ্টা সরকারের নেই। অন্য দিকে ঢাকায় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত রোগীর চাপে চরম অব্যবস্থাপনা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংক্রমণের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যার প্রকৃত তথ্য না দিয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। হাসপাতালে সংবাদকর্মীদের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা নিষেধ আরোপ করেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ভয়ে সংবাদকর্মীগণ প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে পারছেন না। অন্য দিকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিকা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ সরকার এখন পর্যন্ত জনগণের সামনে দিতে পারেনি। তিনি বলেন, সরকার অবলীলায় জনগণকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারণা করছে। এক দিকে সরকার বলছে প্রতি সপ্তাহে ৬০ লাখ টীকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে, অথচ গত ৭ মাসেও ৬০ লাখ টীকা দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, এক দিকে গণপরিবহন বন্ধ অন্য দিকে কারখানায় কাজে যোগ দেয়ার নির্দেশে তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়। অন্য দিকে ঢাকার বাইরের শ্রমিকরা এবং ঢাকার জনগণ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ভয়াবহ সংক্রমণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।

বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর