টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

বর্ষার মৌসুমের শ্রাবণ মাসের প্রথম দিকে আমন ধান রোপন করার সময়। কিন্তু এবার টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পরেছেন ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার কৃষকরা। এদিকে তীব্র জলাবদ্ধতার কারনে আমন ধানের বীজতলা নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে ৪ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা হলো ৭২ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমি।

কৃষকরা বার্তা বাজারকে জানান, টানা কয়েকদিন অতি বৃষ্টি হওয়ার কারণে আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার মৌসুমের আষাঢ় মাসের শেষ এবং শ্রাবন মাসের প্রথম দিকে আমন ধানের চারা রোপন করার সময়। কিন্তু পানির কারণে জমিতে চাষ দিতে পারছেন না তারা। এবং বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি এভাবে থাকলে বীজতলা ব্যপক ক্ষতি হবে।

সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আসলামপুর, মাদ্রাজ, আহম্মদপুর, নীলকমল, নুরাবাদ, হামিদপুর, হাজারিগঞ্জ, চরমণিকা, নজরুল নগরসহ পঁচিশটি এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। প্রায় তিন ফুট পানির নিচে ডুবে রয়েছে আমনের বীজতলা। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্র চাপ থাকায় পানি নামছে না।

নুরাবাদ ইউনিয়নের কৃষক ইউনুছ জানান, সে এক একর জমিতে আমন ধানের বীজ বুনেছে। চারাও গজিয়েছে। কিন্তু পাঁচ দিন ধরে জোয়ারের পানিতে সব চারা ডুবে আছে। পানি না কমলে চারার গোড়ায় পচন ধরতে পারে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আবু হাসনাইন বলেন, চরফ্যাসন উপজেলায় ৪ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এতে উপজেলায় ৭২ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু পানির কারণে শতকরা ১৫ ভাগ বীজতলা ডুবে গেছে। জোয়ারে বীজতলা ডুবে গেলেও ভাটায় পানি নেমে যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

আরিফ হোসেন/বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর