চাকরি বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে উঠছেন নারী শ্রমিকরা

নাসরিন আক্তার (৩৮) গাজীপুর একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের চাকরি করেন। ঈদের আগের দিন ছুটিকে নান্দাইলে নিজ বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। মহামারি করোনা মোকাবিলায় কঠোর লকডাউন থাকায় ৫ আগষ্ট পর্যন্ত কারখানা বন্ধ থাকার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত হয়। তাই শনিবারের মধ্যে যে কোন মূল্যে ঢাকা পৌঁছাতে হবে। অনেক কষ্ট করে বাড়ি থেকে নান্দাইল চৌরাস্তা পর্যন্ত এসে বিপাকে পড়তে হয়।

কোন উপায় না দেখে চাকরি বাঁচাতে মই বেয়ে ৮‘শ টাকা ভাড়ায় একটি ট্রাকে উঠেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নাসরিনের মত এমন হাজার হাজার পোশাক কর্মীকে নান্দাইল চৌরাস্তা এলাকা থেকে আজ শনিবার ট্রাকে গাদাগাদি করে নিজ কর্মস্থলে ফিরতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে সরকার সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। এজন্য পোশাক কারখানা ১৪ দিন বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু হঠাৎই রবিবার থেকে পোশাক কারখানা খোলায় বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কর্মস্থলে ফিরছে শ্রমিক।

শনিবার নান্দাইল চৌরাস্তা এলাকায় এসে দেখা গেছে, আশপাশের ৪/৫টি উপজেলা থেকে শ্রমিকরা এখানে জড়ো হচ্ছে। দুপুর বেলা ভিড় বাড়তে থাকে। শ্রমিকরা কোন উপায় না পেয়ে ট্রাক ও পিকআপে করে রাজধানীর দিকে রওনা দিচ্ছে।

এসময় প্রায় ২০জন শ্রমিকের সাথে কথা বললে তাঁরা জানায়, জীবিকার প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছি। রবিবার কাজে যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না। তাই বাধ্য হয়েই ট্রাকে যাচ্ছি।

রহিম উদ্দিন ও সুজন নামে দুইজন শ্রমিক জানায়, গণপরিবহন না থাকায় ট্রাক ও পিকআপ ৬‘শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ট্রাক চালক বলেন, পথে বেশ কিছু জায়গায় পুলিশকে ম্যানেজ করে যেতে হবে। তাই ভাড়া সামান্য বেশি নিচ্ছেন।

লেখক ও কলামিষ্ট সাইদুর রহমান বলেন, কারখানা খোলার সাথে শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে পরিবহনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন ছিল। তারা এখন যেভাবে ঢাকায় ফিরছে তাতে বাড়তি অর্থের পাশাপাশি ভোগান্তিও হচ্ছে। এতে করোনার ঝুঁকি আরো বেড়ি গেলো।

মজিবুর রহমান ফয়সাল/বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর