কোরবানির বর্জ্য সরিয়ে নিতে বলায় মাদ্রাসায় হামলা!
পটুয়াখালীর বাউফলে কোরবানির চামড়া ও বর্জ্য সরিয়ে নিতে বলায় লাঠিসোটা নিয়ে মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় প্রাণ বাঁচাতে মাদ্রাসায় ঢুকে আত্মগোপন করেন মাদ্রাসার দুই শিক্ষক।
পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসে তাদের উদ্ধার করে। শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের সিংহেরাকাঠি কুরআন সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসায় এঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ওই মাদ্রাসার বারান্দায় কোরবানি পশু জবেহ দেওয়া হয়। পশুর রক্ত, চামরা ও বর্জ্য পরিস্কার না করে বারান্দায় ফেলে রাখে তারা। কোরবানির ৯দিন শেষ হলেও বর্জ্য পরিস্কার করেনি ওই প্রভাবশালীরা। এতে চারদিকে বর্জ্য পচে র্দুগন্ধ ছড়িয়ে পরে।
ঘটনার দিন ওই মাদ্রসার সুপার মো. আবু ইউসুফ ও সহকারি সুপার আবু হানিফ মো. মুজাহিদ ইসলামকে মুঠোফোনে বর্জ্য অপসরণের জন্য বলেন। এতে মুজাহিদ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে মুজাহিদ,বশার ও মালেকের নেতৃত্বে ১০/১২জন দুর্বৃত্তরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
প্রাণ বাঁচাতে মাদ্রসার সুপার ও সহসুপার মাদ্রাসা কক্ষে ঢুকে আত্মগোপণ করেন।
পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন সিকদার জামাল এসে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে।
মাদ্রসার সুপার মো. আবু ইউসুফ বলেন, পশুর বর্জ্যরে কারনে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার পরিস্কার করার জন্য বলেছি। তাঁরা পরিস্কার করেনি। আজ শুক্রবার সকালে মোবাইল ফোনে মুজাহিদকে বর্জ্য সারাতে তাগিদ দিলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে দলবল নিয়ে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে মুজাহিদুল ইসলাম জানান,হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। তর্ক-বিতর্ক হয়েছে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি আল মামুন জানান,অভিযোগ পেয়েছি,ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বার্তা বাজার/টি