স্থাপনের দেড় মাসেই অচল এক্স-রে মেশিন, ঠিক হয়নি চার বছরেও

স্থাপনের দেড় মাসেই বিকল হয়ে পড়েছে লালমনিরহাট ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি। বিকল হওয়ার চার বছর পেরিয়ে গেলেও সচল হয়নি প্রায় ৪০ লাখ টাকা মূল্যের এক্স-রে মেশিনটি।

এতে একদিকে যেমন রোগীদের সঠিক রোগ নির্ণয় অনেক সময়ই বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে, অন্যদিকে চড়া মূল্যে প্রাইভেট ক্লিনিকে এক্স-রে করাতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীর স্বজনরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের এক্স-রে করানো হচ্ছে এনালগ এক্স-রে মেশিনে। যার ফলে সঠিক ভাবে রোগ নির্ণয় অনেক সময়ই সম্ভব হচ্ছে না এবং অনেক ক্ষেত্রে রোগীর ডিজিটাল এক্স-রে করার প্রয়োজন হলে সেটাও করা যাচ্ছে না।

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আয়নাল হক বার্তা বাজারকে বলেন, “চার বছর আগে যখন এই মেশিনটা নতুন দেয়া হয়েছিলো, তার দেড় মাসের মধ্যেই তা অচল হয়ে পরে। অচল থাকার কারনে অনেক সময় রোগীর সঠিক রোগ নির্ণয় ব্যহত হয়”।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা সিরাজুল ইসলাম বলেন,”এটি অচল হওয়ার পর একাধিকবার আমরা সাপ্লায়ার কোম্পানি ‘বেঙ্গল সাইন্টিফিক’ কে বিভিন্নভাবে জানিয়েছি কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাইনি।

এটি মেরামত করার জন্য ‘নিপিউ’ (ন্যাশনাল ইলেকট্রো-মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ এন্ড ট্রেনিং সেন্টার) বরাবর আবেদন করেও কোন সুফল পাইনি। শুধু তাই নয় নতুন একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন এর আবেদনও করেছিলাম। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও সেটাও পাইনি।

বিষয়টি সংসদ সদস্য (লালমনিরহাট-৩ আসন) জিএম কাদের মহোদয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেও জানিয়েছি তবুও এর কোন সুরাহা করা যায়নি।”

তিনি আরও জানান, “বেঙ্গল সাইন্টিফিক’ এর বিরুদ্ধে মেডিকেল সরঞ্জাম সরবরাহ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। ফলে শীঘ্রই এ ব্যাপারে সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
‘নিপিউ’ এর চিফ টেকনিক্যাল ম্যানেজার(উপসচিব) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এর সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও পাওয়া যায়নি তাকে।

এদিকে সাপ্লায়ার কোম্পানি ‘বেঙ্গল সাইন্টিফিক’ এর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোকলেস আহমেদ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান,”গত দুবছর আগেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি এবং কোম্পানিটিও এখন বন্ধ। আমি উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে ছিলাম বিধায় আমার সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ হতো কিন্তু এখন নেই।

মেশনটি বিকল হওয়ায় বিষয়টি আমি জানি এবং সচল করার চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি।এবিষয়ে আমি আর বেশি কিছু বলতে পারবো না।”

মোঃ বাদশা মিয়া/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর