ইউরোপে মানবপাচারের শিকার ১৪ শতাংশই বাংলাদেশি

ইউরোপে মানবপাচারের শিকার হওয়া মানুষের মধ্যে ১৪ শতাংশই বাংলাদেশি। ভাগ্য বদলের আশায় ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মারা যাচ্ছেন এদের অনেকেই। হোয়াটঅ্যাপ, ইমো, ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নতুন নতুন রুটে চলছে এ মানবপাচার।

অভিবাসন বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থার হিসেবে, গত এক দশকে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করেছেন অন্তত ৬২ হাজার বাংলাদেশি।গেল সপ্তাহে এভাবে ইতালির উদ্দেশ্যে ভুমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মারা গেছেন ১৭ জন বাংলাদেশি।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এভাবে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২১ হাজার ৭০৭ জন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, বসনিয়ার জঙ্গলে এখনো আটকা পড়ে আছেন শত শত বাংলাদেশি। যারা বলকান দেশগুলোর সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করছেন।

ইউরোপের কথা বলে ক্রোয়েশিয়ার ভেলিকা গোরিচা নামক জায়গায় আটকে রেখে চট্ট্রগ্রামের আলফাই আল হোসাইনের কাছেও মুক্তিপণ চেয়ে নির্যাতন করে পাচারকারীরা। তিনি কৌশলে পালিয়ে দেশে ফিরতে পারলেও দেশী দালালদের হাতে তুলে দেন ৮ লাখ টাকা।

মুক্তিপণের শিকার বাংলাদেশি আলফাই আল হোসাইন বলেন, কিছুদিন পরে সে অফার করে ইতালি যাবার জন্য কিন্তু যেতে আরও সাড়ে তিন লাখ টাকা দিতে হবে তাদের। আমরা পরিবারের সাথে কথা বলি। এবং টাকার ব্যবস্থা করতে পারিনি বলায় তারা আমাদের উপর কঠিন নির্যাতন শুরু করে। এমনকি পাসপোর্ট নিয়ে নেওয়া হয়। এসময় কেউ মারা গেলে বেওয়ারিস হয়ে পড়ে থাকে ।

বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের মানবপাচার প্রতিরোধ ইউনিট বলছে, ইতালি প্রবেশে লিবিয়াকে মুল পয়েন্ট ধরে বাংলাদেশ থেকে পাচারকারীরা অন্তত সাতটি রুট ব্যবহার করে থাকে।

এসপি সিআইডি (মানবপাচার ইউনিট) সাইদুর রহমান খান বলেন, যারা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যাচ্ছে এদের বিষয়টা মানটরিং করা প্রয়োজন। নির্দিষ্ঠ সময়ের ভেতর না ফিরলে বা সময় অতিক্রম হলে রিপোর্ট করতে হবে।’

বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর