বাউফলে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় টাকার বিনিময় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা!

পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের উত্তর মমিনপুর গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরণীকে (২০) ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে আপসের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (২৮ জুলাই) ওই তরুণী এবং তার পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের কাছে এমনই অভিযোগ করেন। এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় বাউফল থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করার পর চারদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

বুধবার (২৮ জুলাই) বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী জানান, কেশবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাসেম গাজীর ছেলে রাব্বির(২৫) সাথে দীর্ঘদিন পর্যন্ত প্রেম চলে আসছিল। একমাস আগে রাব্বি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরপর আমি বিয়ের প্রস্তাব দিলে রাব্বি বিয়ে করতে অস্বীকার করে।

গত ২৩ জুলাই বিয়ের দাবি নিয়ে আমি রাব্বীর পরিবারের কাছে গেলে তারা আমাকে মারধর করে বাড়ির উঠানে সারারাত ফেলে রাখে। পরদিন পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় গত ২৬ জুলাই আমি বাদি হয়ে মো. রাব্বী গাজী, তার পিতা মো. কাশেম গাজী, মা মোসা. খাদিজা বেগম ও বোন আয়শা বেগমকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করি। রাব্বির চাচা মো. শাহজাহান গাজী ওই ওয়ার্ডের মেম্বার হওয়ায় আসামিরা তার ছত্রছায়ায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারছে না।

ওই তরুণী জানায়, মেম্বার মো. শাহজাহান গাজী আমার ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা টাকার বিনিময় ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ওই তরুণী আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে বলেন, যদি বিচার না পাই তাহলে আমি বিষ খাবো। আমার জীবন নষ্ট করে বিয়ে না করলে এই জীবন রেখে হবে কী?

ওই তরুণীর মা জানান, ঘটনার পর থেকেই রাব্বীর চাচা মেম্বার শাহজাহান গাজী, আফজাল গাজী, চাচাতো ভাই মো. সজিব গাজীসহ একটি প্রভাবশালী মহল আমাদেরকে হুমকি দিয়ে আসছে। ধর্ষণের ঘটনা আপস করতে টাকা নেয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে। আমরা টাকা নিতে অস্বীকার করে প্রকৃত বিচার দাবি করছি। ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

ইউপি সদস্য ও অভিযুক্তর চাচা মো. শাহজাহান গাজী বলেন, হুমকির অভিযোগ মিথ্যা। যেহেতু উভয়েই একই এলাকার তাই আপসের আলাপ হতে পারে। তবে আমি নিজে আপসের জন্য যাইনি।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, মামলা হওয়ার পর ২৭ জুলাই ওই তরুনীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর