পিটিয়ে ন্যাড়া করে গ্রাম ঘোরালো ধর্ষিত মা-মেয়েকে

তরুণীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করতে এসেছিল দুষ্কৃতিকারীরা। অভিযোগ উঠেছে, তাদের নেতৃত্বে ছিলেন এলাকার কাউন্সিলর! কিন্তু মেয়েকে ধর্ষণ থেকে বাঁচিয়ে দেন ৪৮ বছর বয়সী মা।

ফলে ব্যাপক মারধরের শিকার হতে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত রুখে দিতে পারেন দুষ্কৃতিকারীদের। সেই ‘অপরাধে’ নির্মম শাস্তি পেতে হলো সেই মা-মেয়েকে। অভিযোগ উঠেছে, তাদের দু’জনকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া করে ঘোরানো হয়েছে পুরো গ্রাম।

বুধবার বিহারের বৈশালী জেলার ভগবানপুর এলাকার ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সবাই। মা-মেয়ের ওপর নৃশংস অত্যাচারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত সাত জনের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মূল অভিযুক্ত, এলাকার কাউন্সিলর মুহাম্মদ খুরশিদ।

অভিযোগ উঠেছে, তার নেতৃত্বে মেয়েটির বাবার অবর্তমানে তাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। একদল লোক ওই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তাতে সর্ব শক্তি দিয়ে বাধা দেন তার মা। যদিও সে সময় তাকে বেধড়ক পেটানো হয়।

ভগবানপুর থানার অফিসার সঞ্জয় কুমার জানান, ঘটনাটি সত্য বলেই জেনেছেন তারা। সে অনুসারে সক্রিয় হয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারও করা হয়েছে অভিযুক্তদের।

তিনি জানান, ৪৮ বছরের ওই মাকে মারধরের পর তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায় অভিযুক্তরা। পরে তারা আবারো ফিরে আসে, সঙ্গে এক নাপিতকে নিয়ে। জোর করে মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে সারা গ্রাম ঘোরানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ আচমকাই হামলা করা হয় ওই মা-মেয়ের ওপর। কাউন্সিলর খুরশিদ দলবল নিয়ে এসে দাবি করে, তারা নাকি অবৈধভাবে মাংস বিক্রির ব্যবসা করছে।

অভিযোগ উঠেছে, পুরো ঘটনায় নীরব থাকতে দেখা গেছে প্রতিবেশীদের। সন্ধ্যার পর সাহস সঞ্চয় করে পুলিশে অভিযোগ জানান মা ও মেয়ে। মেয়েটির অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর মুহাম্মদ খুরশিদ কয়েক মাস ধরেই তাকে বিরক্ত করছে।

মা ও মেয়ে দু’জনের শরীরেই হেনস্থার ক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য মহিলা কমিশন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর