ক্রেতাশূন্য ভাসমান পেয়ারার হাট, বিক্রি হচ্ছে পানির দামে
ভাসমান পেয়ারা বাজারের জন্য বিখ্যাত বরিশালের ঝালকাঠি। এবার ভরা মৌসুমেও ক্রেতার দেখা নেই ভাসমান পেয়ারার হাটে। ফলে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে পেয়ারা।
ঝালকাঠির ভীমরুলির ভাসমান হাট। বারো মাস পেয়ারা, আমড়া, লেবুসহ নানা কৃষিপণ্যে সরগরম থাকে এই হাট। আষাঢ় থেকে ভাদ্র-বাজারটি দখলে থাকে পেয়ারার। এ সময় ক্রেতা-বিক্রেতা ছাড়াও সমাগম ঘটে দেশি-বিদেশি পর্যটকের। চাষিরা ছোট-ছোট নৌকায় বাগান থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন হাটে। আর এখান থেকে তা কিনে ট্রলার কিংবা ট্রাকে মোকামে নিয়ে যান পাইকাররা। তবে, এবছর করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে জমে ওঠেনি হাট।
বিক্রিতারা বলছেন, বিধিনিষেধ চলায় বাইরে থেকে হাটে আসতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। বাধ্য হয়ে ৪ থেকে ৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে পেয়ারা।
অন্যসময় প্রতি মণ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। ফলে এবছর লোকসানের আশঙ্কায় চাষিরা।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জোহর আলী জানান, বিধিনিষেধে পেয়ারা পরিবহণে কোনো সমস্যা যেন না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ঝালকাঠিতে এ বছর ৮০০ হেক্টর জমিতে হয়েছে পেয়ারার আবাদ। যা থেকে প্রায় ৯ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন পেয়ারা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বার্তাবাজার/পি