হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

উত্তম আর্য্য, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয়রে উপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে এলেঙ্গার সাধারণ জনগণ। এসময় সাধারণ জনতা সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও বলে স্লোগান দিতে থাকেন। শুক্রবার ( ২৮ জুন ) সকালে ময়মনসিংহ লিংক রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে এলেঙ্গা সহকারী পুলিশ সুপার কার্যালয় কালিহাতী সার্কেল অফিসের সামনে এসে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন এবং কালিহাতী সার্কেল অফিসের প্রতিনিধিদের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেন। পরে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত ) ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ খাদেমুল ইসলাম মাস্টারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ আনোয়ার হোসেন মোল্লা, এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র নূর এ আলম সিদ্দিকী, বাংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসমত আলী, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোতালেব সিকদার, উপজেলা বাকশিসের সাধারণ সম্পাদক বাবর আলী তালুকদার, , ইউপি সদস্য রোকনুজ্জামান মোল্লা রুপন, এলেঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান মোল্লা,উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ-আলম মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ মোল্লা প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন এলাকার পাঁচ সহ¯্রাধিক বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করে সমাবেশে যোগদান করেন। বক্তরা বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সবুজ, সজীব, রাফিসহ হৃদয়ের উপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের গ্রেফতার না করা হলে কঠিন আন্দোলন করা হবে। সেই সাথে তারা এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন ।

জানা যায়, গত ২৪ জুন বিকালে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে র‌্যাগিং করে সবুজ,সজীব,রাফিসহ ১৫-২০ জনের একদল যুবক এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয়ের উপর পৈশাচিক ভাবে নির্যাতন করে রড, স্ট্যাম্প ও ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে এলাপাথারি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলজে হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। হৃদয় বর্তমানে হৃদয় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

ঘটনার পরেরদিন হৃদয়ের পিতা শহিদুল ইসলাম সবুজ,সজীব, রাফিসহ ১০-১২ আসামী করে কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত একজন আসামীকেও গ্রেফতার করতে পারেনি।

এদিকে হৃদয়ের উপর অমানবিক হামলার ঘটনায় সাধারণ জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। ফেসবুকে চলছে নিন্দার ঝড় ও নানা সমালোচনা।
হৃদয়ের পিতা শহিদুল বলেন, আমার ছেলেকে যারা আমানবিকভাবে মেরেছে তাদের কঠিন শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল করিম বলেন, হৃদয়ের উপর হামলাকারী এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের যেই ছাত্র জড়িত থাকুক তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হবে।

কালিহাতী থানার অফিসার ইনাচর্জ (ওসি তদন্ত) বলেন, আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি খুব দ্রতই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর