আখাউড়ায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে বন্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে অষ্টম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী। সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের দুবাই প্রবাসীর অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী (১৪) সাথে একই এলাকার আবদুর রউফের দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছেলে জুনায়েদের সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।

সোমবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়। পরে বরপক্ষের লোকজন খাওয়া-দাওয়া শুরু করলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে হাজির হন ইউএনও রুমানা আক্তার।

পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। আগামী তিন বছর পর্যন্ত প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কিশোরীকে বিয়ে দিবে না মর্মে বর, বরের বাবা ও কিশোরীর মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেন এবং বরপক্ষকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করেন। তিনি ওই স্কুল ছাত্রীকে ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আমিনুল ইসলামের জিম্মায় দিয়ে যান।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারা (ইউএনও) রুমানা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছেলে, ছেলের বাবা ও মেয়ের মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়েছে এবং ছেলে পক্ষকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী তিন বছর পর্যন্ত ওই কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া যাবে না মর্মে পরিবারের লোকজনকে কঠোরভাবে বলা হয়েছে।

রাসেল আহমেদ/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর