কলাপাড়ায় সরকারি খাল দখলমুক্ত করলেন উপজেলা প্রশাসন

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলাধীন ধানখালী ইউনিয়নের পাঁচ জুনীয়া সরকারি খালে প্রায় ২০ বছর যাবৎ দীর্ঘ চার কিলোমিটার খালে কোন প্রকার সরকারি বন্দোবস্ত না নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী সরকারি খালে একাধিক বাধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ চাষ করে আসছে। পাচজুনীয়া সরকারি খালে একাধিক বাধ দিয়ে মাছ চাষ করায় প্রায় ২ হাজার একর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে।

এ ব্যাপারে এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান,ধান ও প্রয়োজনীয় ফসল চাষাবাদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ ও নিষ্কাসনের জন্য এ খালটি ব্যাবহৃত হয়। কিন্তু মোল্লা গং আনসার মোল্লা, আক্কাস মোল্লা সহ এলাকার প্রভাবশালীরা সরকারি খালে একাধিক বাধ দিয়ে মাছ চাষ করে।

এতে করে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে প্রায় ২ হাজার একর জমি বছরের অর্ধেক সময় প্লাবিত হয়ে থাকে। সকল জমি পানিতে ডুবে থাকার কারনে তিন ফসলি এ জমিতে এখন আর ফসল হয়না।

ধানখালী ইউনিয়নের পাচজুনীয়া খালটি নিয়ে এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে (২৬ জুলাই)সোমবার কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন খালটি দখলমুক্ত করলেন। দীর্ঘ ৪ কিঃমিঃ খালের মধ্যে ১৬ টি অবৈধ বাধ রয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রাকিবুল আহসানের উপস্থিতিতে ২৬ জুলাই ১০ টি অবৈধ বাধ কেটে খালটি উন্মুক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মুহম্মদ শহিদুল হক। এ সময় ধানখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক সহ সাধারন জনগন উপস্থিত ছিলেন।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মুহম্মদ শহিদুল হক বলেন, পাচজুনীয়ার সরকারী খাল থেকে আজকে ১০ টি অবৈধ বাধ কেটে দেওয়া হয়েছে। বাকি গুলো আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) কেটে দেওয়া হবে। খালটি দখলমুক্ত হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।

আহম্মেদ পাশা তানভীর/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর