বাঁচতে চায় ৫ বছরের মাহিদ

মো. জাহিদুল ইসলাম মাহিদের বসয় পাঁচ বছর। পৃথিবী বুঝে উঠার আগেই তার শরীর জুড়ে বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধী ক্যান্সার। সমবয়সীদের সঙ্গে মাঠে খেলায় মত্ত থাকার বদলে হাসপাতালের বিছানায় প্রহরণ গুনতে হচ্ছে মৃত্যুর। তবুও বাঁচার আকুতি তার তীব্র।

ক্যান্সারে আক্রান্ত মাহিদকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য গার্মেন্টকর্মী বাবাও চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থাভাবে তার চিকিৎসা চালানো দরিদ্র বাবার পক্ষে ক্রমশ অবসম্ভব হয়ে পড়ছে।

মাহিদের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের দুবলী গ্রামে। গ্রামের মো. জুয়েল মিয়া ও রোজিনা আক্তার দম্পতির ছেলে সে। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাহিদ ছোট। বাবা-মা দুজনইে গাজীপুরে একটি গার্মেন্টে কাজ করেন। বাড়িতে প্রতিবন্ধী দাদা ও দাদির কাছেই থাকে মাহিদ। স্থানীয় দুবলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির ছাত্র সে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ জ্বর শুরু হয় মাহিদের। বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলেও জ্বর সারেনি। স্থানীয় ভাবে অনেক চিকিৎসা করেও মাহিদ পুরোপুরি সেরে না উঠায় গত জুনের শুরুতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ একমাস নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চলতি মাসের ৬ জুন মাহিদের শরীরে রক্ত বা অস্থিমজ্জার ক্যান্সার শনাক্ত হয়। বর্তমানে হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে মাহিদ। প্রতি সপ্তাহে একটি করে ক্যামো থেরাপি দিতে হচ্ছে ছোট্ট মাহিদকে।

মাহিদের বাবা জুয়েল মিয়া বলেন, ইতোমধ্যে এক লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে ছেলের চিকিৎসায়। আরও অন্তত ২ বছর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে চিকিৎসকরা জানিয়েছে। ছেলের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো তার পক্ষে কষ্টকর। একমাত্র সম্বল ভিটে টুকু বন্ধক রেখে ছেলের চিকিৎসা ব্যয় মেটাচ্ছেন। কতদিন চিকিৎসা চালিয়ে নিতে পারবেন জানা নেই। মাহিদকে বাঁচাতে সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে সহায়তা প্রার্থনা করেন জুয়েল। সহায়তা পাঠানো যাবে- (বাবার বিকাশ নম্বর-০১৮৮০৮৪২৪৩৮)।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, ক্যান্সার আক্রন্ত শিশুটির বাবা আবেদন করলে সরকারি তহবিল থেকে তাকে অর্থসহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

আরিফুল হক/বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর