মেহেরপুরে ঢিলেঢালা লকডাউন

সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুরেও কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিন। ১ম ও ২য় দিন প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলেও ৩য় দিনে এসে লকডাউন চলছে অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাবে। দোকাটপাট বন্ধ থাকলেও জনচলাচল ছিল বেশ স্বাভাবিক।

এছাড়াও তিন চাকার ইজিবাইক ও রিক্সার দাপট ছিল শহর জুড়েই। মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্ট থাকলেও নানা অজুহাত দেখিয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন।

রবিবার (২৫ জুলাই) চলমান বিধিনিষেধের ৩য় দিন মেহেরপুর শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা। তবুও সড়কে কমতি নেই ছোটখাট যানবাহন আর জনগণের চলাচল।

শামীম রেজা ও শাকিল রেজা রিক্সা নিয়ে বাইরে বেরিয়েই পড়েছেন পুলিশের জেরার মুখে। পুলিশ, তাদের বাইরে বেরোনোর কারন জানতে চাইলে , তারা বলেন, ডাক্তারের কাছে যাবো। সাথে সাথে বের করে দিলেন প্রেসক্রিপশন। সেটা ছিল অনেক পুরনো। একই রিকশায় বের হয়ে পর্যাপ্ত কারণ না দেখাতে পারায় তাদের জরিমানাও করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

মেহেরপুরের হোটেল বাজার মোড়ে পুলিশের চেকপোস্টে আটক হয়ে শাস্তির মুখে পড়েছেন জন্মদিনের কেক কিনতে আশা মুজিবনগরের আশরাফুল ইসলাম। সড়কে যানবাহন বৃদ্ধি ও জনগণের চলাচল প্রসঙ্গে মেহেরপুর সদর থানায় ওসি শাহ দ্বারা খান বলেন, নানা অযুহাতে মানুষ বাইরে রেবোচ্ছে। অধিকাংশই ডাক্তারের কাছে যাবে বলে প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসছে। মানুষের চলাচল, যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও আমাদের চারদিকে চেকপোস্ট রয়েছে।

অকারণে কারও বের হয়ে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি। বৈধ কোনো কাগজ কিংবা পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া বের হলেই আটক করছি। নিয়ম অমান্য করলে কোনো ছাড় নেই।

বিজিবিকে সাথে নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন সহকারী কমিশনার মিথিলা দাস। তিনি বলেন, জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গকারীদের জরিমানার আওতায় নিয়ে আসছি। করোনার বিস্তার রোধে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।

মাসুদ রানা/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর