ধুনটরোডে লকডাউনের বালাই নেই, উপেক্ষিত বিধি-নিষেধ

বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের ধুনটরোড এলাকায় মানা হচ্ছেনা সরকারি বিধি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিএনজি মালিক সমিতির নেতাদের বারবার সতর্ক করা হলেও তা মানছেনা সিএনজি চালকরা। জটলা বেধে একত্রে থেকে বিভিন্ন উপজেলায় যাত্রী বহন করছে।

এতে করে উপেক্ষিত হচ্ছে সরকারি বিধি। লকডাউন বিধি মানাতে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

সরেজমিনে ধুনটরোড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুপাশে শত শত সিএনজি, লেগুনা দাড়িয়ে আছে। আর যানবহনের চালকরা কড়িতলা, মেঘাই, কাজিপুর, সোনামূখী, ধুনট, বড়িয়া, সারিয়াকান্দির প্যাসেঞ্জারদের ডাকছে। কোরবানী ঈদে অনেকেই ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছে ঈদ উদযাপন করতে। সেই সুযোগে আশেপাশের উপজেলার আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি বাড়ি ঘোরাফেরা করছে তারা। এতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। অহেতুক বাহিরে ঘোরাফেরা না করার জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও তা মানছেন এই সকল যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। এতে করে উপেক্ষিত হচ্ছে সরকারি বিধি।

এ ব্যাপারে কয়েকজন সিএনজি চালক বলেন, করোনাকালে আমরা ঘরে বসে থাকলে পরিবার না খেয়ে মরে যাবে। তাই সিএনজি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। ম্যাজিস্ট্রেট আসলে আমরা দৌড়ে পালিয়ে যাই আবার তারা চলে গেলে ফিরে আসি। এছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।

বগুড়া জেলা অটোরিক্সা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ শেখ বলেন, সিএনজি চালকদের বারবার নিষেধ করছি কিন্তু তারা শুনছেইনা। তবুও চেষ্টা করছি তাদের নিয়ন্ত্রণ করার।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, সিএনজি মালিক সমিতির নেতাদের ডেকে এনে সতর্ক করে দিয়েছি। এরপরেও যদি তারা সরকারি বিধি না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাশেদুল হক/বার্তাবাজার

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর