পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর মামলায় পুরো গ্রাম তটস্থ!

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি অপহরণ মামলার ধারাবাহিকতায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। শনিবার (২৪ জুলাই) সরেজমিন আশুলিয়া থানাধীন স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের কাইচাবাড়ি এলাকায় গেলে ভিডিও বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত আশুলিয়া থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক বর্তমানে ময়মনসিংহে কর্মরত মোঃ ফজিকুল ইসলামের কন্যা ফারজানা ইসলাম হৃদিতা ‘অপহৃত হওয়ার’ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় গত ১৭ জুলাই মামলা দায়েরের পর থেকে। উপ-পরিদর্শক মোঃ ফজিকুল ইসলামের স্ত্রী কাকলি আক্তার রিমা বাদী হয়ে কাইচাবাড়ি এলাকার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আজহারুল ইসলামকে (২৪) ১নং আসামী উল্লেখ করে মোট ৮ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টির অনুসন্ধানে নামে বার্তা বাজারের স্থানীয় প্রতিনিধি। এসময় মামলার এজাহারভুক্ত ১নং আসামীর বাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয়দের বক্তব্যে জানা যায়, গত কয়েকবছর আগে আশুলিয়া থানায় উপ-পরিদর্শক থাকাকালীন মোঃ ফজিকুল ইসলাম কাইচাবাড়ি এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। এরপর থেকেই তিনি স্বপরিবারে সেই বাড়িতেই বসবাস শুরু করেন। সম্প্রতি ফজিকুল ইসলামের মেয়ে ফারজানা ইসলাম হৃদিতা একই এলাকার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আজহারুল ইসলামের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৩ মে গাজীপুর বিজ্ঞ ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট /নোটারি পাবলিক এর কার্যালয়ে কোর্ট ম্যারিজ সম্পন্ন করে তারা আত্মগোপনে চলে যান। পরে গত ১৭ জুলাই আশুলিয়া থানায় আজহারুল ইসলামকে ১নং এবং স্থানীয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক পঞ্চাশোর্ধ মোঃ আলম দেওয়ানসহ মোট ৮জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। মামলাটি থানায় গ্রহণও হয়।

মূলত এরপর থেকেই হয়রানির খড়গ নেমে আসে কাইচাবাড়ি এলাকার সাধারণ মানুষের উপর। পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে সহায়-সম্বলহীন আজহারুল ইসলামের মা হাজেরাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। একই সময় এজাহারভুক্ত আসামী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককেও আটক করা হয়। তবে ছেলে-মেয়ে যারা উভয়ে বালেগ অবস্থায় স্বেচ্ছায় ভালোবেসে কোর্ট ম্যারেজ করে আত্মগোপনে চলে গিয়েছেন, সেক্ষেত্রে মামলার অভিযোগে ১নং আসামী ও তার মা ছাড়া এজাহারভুক্ত বাকি যাদের নাম দেয়া হয়েছে এই পরিবারের সাথে এবং এই মামলায় তারা কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নন বলে জানান স্থানীয়রা।

পাশাপাশি, মামলার পর থেকে এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং সিনিয়র সিটিজেনসহ অন্য শ্রেণি-পেশার নারী পুরুষকে হয়রানির দ্বারা তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও অভিযোগ আনেন তারা। কাইচাবাড়ি বাজার সংলগ্ন মামলার ১নং আসামী আজহারুল ইসলামের টিনশেড বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তালাবদ্ধ বাড়িতে কেউ নেই। সুনসান নীরবতার মাঝে শুধু বাড়িটি পড়ে রয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি দেখে ধীরে ধীরে ভিড় করে স্থানীয়রা। তাদের মধ্যে অনেকেই ভিডিও বক্তব্যে জানান তাদের সমস্যার কথা। অনেকে নামপ্রকাশ না করার শর্তেও ক্যামেরার পিছনে কথা বলেন।

কথা হয় অভিযুক্ত ১নং আসামীর দাদীর সাথে। সত্তোরোর্ধ এই সিনিয়র সিটিজেন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘হেরা ভালোবাইসা বিয়ে করছে, এরপর হেরা কই গেছে আমরা জানিনা। তয় পুলিশ আইসা হের মায়রে ধইরা নিয়া গ্যাছে, অহন বাড়িতে কেউ নাই। হের মায়ের কি দোষ আমি জানিনা।’

 

আজাহারুল ও হৃদিতার বিয়ের প্রমাণ। ছবি- বার্তা বাজার

প্রতিবেশী পঞ্চাশোর্ধ আরেক নারী ভিডিও বক্তব্যে জানান, ছেলে আর মেয়ে, তারা কিভাবে ভাইগা গেছে তা এলাকার মানুষও কেউ জানেনা। এলাকার মানুষ কিছুই জানে না তারা দুইজনে কি করছে না করছে। কিন্তু এলাকায় পুলিশ আইসা রাস্তাঘাটে যারে পাইতেছে ধইরা নিয়া যাইতেছে। গরীব, নিরীহ মানুষ, তাগোও ধইরা নিয়া যাইতাছে। সরকারের কাছে আমি একটা আবেদন করতাছি, সরকার জানি যাচাইবাছাই কইরা এইটার বিচার করে। আর এই ছেলের বাপ নাই, তার মা কত কষ্ট করে ছেলে দুইটারে মানুষ করতাছে, এই ছেলের মায়রে জেলে নিয়া বওয়াইয়া রাখছে, সাজা দিতাছে, এই বিচারটা আমি শেখ হাসিনার কাছে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার বড় বোনের মতো, তার কাছে আমি অনুরোধ করতাছি, আমাদের এলাকায় প্রায় সব বাসার বউ-ঝিরা আতঙ্কে আছে, সবাই বাড়িতে তালা দিয়া কই গিয়া পলাইয়া রইছে এই পুলিশের ভয়ে। এইটার বিচার চাই আমি শেখ হাসিনার কাছে।

মোঃ ইয়াজউদ্দিন নামের সত্তর বছরের আরেক সিনিয়র সিটিজেন বলেন, আমার বয়স সত্তর বছর, এই ঘটনার পর থেকে আমিও এখন পলাতক থাকি, আতঙ্কে আছি। আমার ভাইস্তা মোঃ আরিফ যে আইডিয়াল স্কুলের হেডমাস্টার, নির্দোষী এই মানুষটারেও ধইরা নিছে। আজাহার আর ওই মাইয়ার গোপনে সম্পর্ক, তারা গোপনে ভাইগা গেছে, আমরা কিছুই জানি না, অহন আমাগো পুলিশ ধইরা ধইরা নেয়, এইডা কেমন কথা? এই বয়সেও অহন রাতে পুলিশের ভয়ে বাড়িতে থাকতে ভয় লাগে, যদি ধইরা নেয়?

আরেক মধ্য বয়সী জানালেন, তিন মাস আগে, আমরা শুনছি আরকি তারা বিয়া করছে। বিয়া করছে দেখে এখন মেয়েপক্ষ খুব চাপ দিছে, এজন্য তারা দু’জন পলাতক। এখানে গ্রামের মানুষের তো কিছু নাই, তারা জানে না এ ব্যাপারে। মেয়েপক্ষ ক্ষমতাশালী লোক দেখে এখন ক্ষমতার জোরে গ্রামের মানুষগুলোকে হয়রানি করতেছে, যারে পারে তারে ধইরা লইয়া যায়। যারে পারে তারে থানায় ধইরা নিয়া যায়, কেউরে কেউরে ছাইড়া দেয়, কেউরে আটকাইয়া রাখে। এই যা শুরু করছে তাতে গ্রামের মানুষ আর বাড়ি থাকতে পারে না।

ভিডিও বক্তব্যে এক গৃহবধু জানান, আমাদের গ্রামে একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসছে। দুই কি তিনমাস আগে তারা বিয়ে করছে। বিয়ে করার পরে মেয়ের মা এলাকার সবার নামে মামলা দিতেছে। পরে পুলিশ এসে ওই ছেলের মোবাইলে এলাকার যার যার নাম্বার সেভ করা আছে, সবাইরে গ্রেপ্তার করতেছে, যার যার মতো থানায় নিয়া রিমান্ডে অত্যাচার করতেছে। এই যে আমি ক্যামেরার সামনে আসছি, আমারও কোনো নিশ্চয়তা নাই, আমিও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাছি। মানে এরা ক্ষমতার অপব্যবহার করতেছে। রাস্তা থেকে যারে পাইতেছে, তারেই তুইলা নিয়া যাইতেছে। গ্রামের মানুষ সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে। এই ঈদে গ্রামের একটা মানুষও কোরবানি দিতে পারে নাই, ঠিকমত বাড়িতে থাকতে পারে নাই, ঘুমাইতে পারে নাই। আবার মহিলারা ভয়ে এলাকা থেকে যার যার মেয়েদের ভাগায়ে দিছে, মেয়েমানুষও যদি পুলিশ তুইলা নিয়া যায়? আমার এক ভাই স্কুল শিক্ষক, সে শিক্ষক মানুষ, তার নামেও হাবিজাবি মামলা দিয়ে তার জীবনটা তছনছ কইরা দিছে। তারে রিমান্ডে আইনা সেই অত্যাচার করতাছে। মেয়ে নিয়ে ভাগলো অন্য মানুষের ছেলে, এগো সাথে আমাদের কোনো সম্পর্কই নাই, অথচ স্কুল মাষ্টার আমার চাচাতো ভাইরে ধইরা নিয়া অত্যাচার শুরু কইরা দিছে, সরকারের কাছে আমি সুষ্ঠ বিচার চাই।

ঈদের আগের রাতে নিজের হয়রানির বিষয়ে জানালেন স্থানীয় বাজার সংলগ্ন ‘আদর্শ ফার্মেসীর’ মালিক হাবিবুর রহমান হাবিব। ভিডিও বক্তব্যে তিনি জানান, আমি একজন পল্লী চিকিৎসক। হঠাৎ করে সেদিন রাত ৯টার সময় আমাকে পুলিশ এসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে আমাকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমি তাদেরকে বারবার একটা কথাই বলছি, এবিষয়ে আমি কোনো কিছুই জানি না। তারপরও তারা আমাকে অনেক হয়রানি করছে। যদিও তারা আমাকে কোনো টর্চার করে নাই। আমি তাদের বলেছি, ঢাকা শহরে আমি নতুন, এই কাইচাবাড়ি এলাকায় ফার্মেসি করেছি সাত-আট মাস হয়েছে। এই ছেলে ও মেয়ের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা, কিন্তু আমাকে আটক করে ভোর রাত চারটা কি সাড়ে চারটার সময় পুলিশ আমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে যায়। তাহলে আমার পরিবারের সদস্যরা যে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়লো, এর দায় কে নেবে? আর আমাকে পুলিশ নিয়ে যাবার পরই তাদের থেকে আমি জানতে পারি এলাকার একটা ছেলে একটা মেয়েকে উঠায়ে নিয়ে গেছে। ওই ছেলেটা এলাকার ফার্মেসি হিসেবে মাঝে মাঝে ওষুধপত্র নিতে আমার এখানে আসতো, এভাবেই তাকে আমি চিনি। অনেকেই তো আমার ফার্মেসিতে আসে, তাদের সবার বিষয়ে তো আর আমি জানবো না। পরে এলাকার মানুষের কাছে আমি শুনি এই ছেলে আর ওই মেয়ের সাথে তিন-চার বছর ধরে সম্পর্ক।

এ ব্যাপারে কাইচাবাড়ি এলাকায় উপ-পরিদর্শক ফজিকুল ইসলাম এর বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী মামলার বাদি কাকলি আক্তার রিমা বাড়ির বারান্দায় বসা ছিলেন। তার বক্তব্য নিতে গেলে ক্যামেরা দেখে তিনি প্রথমে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এসময় তিনি ক্যামেরা চালু করায় সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে যান। বারান্দা থেকে দৌঁড়িয়ে ‘দাড়ান দেখাচ্ছি’ বলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পরে তিনি তার মোবাইলে অজ্ঞাত কাউকে ফোন করে ধরিয়ে দেন সেখানে থাকা এক সংবাদকর্মীর হাতে।

 

হৃদিতা ও আজাহারুলের জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি। ছবি- বার্তা বাজার

ফোনে কথা বলা সংবাদকর্মী বার্তা বাজারকে জানান, মোবাইলের অপর প্রান্তে কথা বলেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার সহকারী পরিচালক পরিচয় দানকারী এম. রবিউল ইসলাম। তিনি নিজেকে ‘অপহৃত’ ফারজানা ইসলাম হৃদিতার মামা পরিচয় দিয়ে কথা বলেছেন। এসময় তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টি স্পর্শকাতর এবং আর অপহরণের ঘটনাটিও মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে, পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামী গ্রেপ্তার করেছে, এ বিষয় নিয়ে বাদীর পক্ষ থেকে তারা কোনো বক্তব্য দিতে চান না।

কথোপকথনের এক পর্যায়ে, এই মামলাকে কেন্দ্র করে নিরীহ এবং এজাহার বহির্ভূত আসামীদের পুলিশি হয়রানি কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়?- এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন যে, এজাহার বহির্ভূত কাউকে অহেতুক আটক করলে তা অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়বে। তবে প্রমাণ দিতে হবে এরকম কাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্থানীয় ফার্মেসির মালিক পল্লী চিকিৎসক হাবিবুর রহমান হাবিব এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করলে উত্তরে- নিরীহ মানুষকে এই মামলায় পুলিশ যাতে কোনো হয়রানি না করে, এ ব্যাপারে তাদের পক্ষ থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বলে দেয়া হবে বলেও জানান ‘অপহৃত’ ফারজানা ইসলাম হৃদিতার মামা পরিচয় দানকারী এম. রবিউল ইসলাম।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই হারুনকে মুঠোফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় এই পুলিশি হয়রানির বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আশুলিয়া থানার ওসি (ইন্টেলিজেন্স) মোঃ ফজলুল হক এর মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে এবিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য প্রদান করেননি।

উল্লেখ্য, বাদীর লিখিত অভিযোগে ফারজানা ইসলাম হৃদিতার বয়স ১৬ বছর উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রতিবেদক দলের হাতে আসা ফারজানা ইসলাম হৃদিতার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং তার এস.এস.সি’র সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ২২.০৭.২০০২। এতে করে তার বয়স দাঁড়ায় প্রায় ১৯ বছর। তাছাড়া যেখানে গত ২৩ মে, ২০২১ তারিখে গাজীপুর বিজ্ঞ ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট /নোটারি পাবলিক এর কার্যালয়ে তারা উভয়ে কোর্ট ম্যারিজ সম্পন্ন করেছে, ঘটনার প্রায় দুই মাস পরে কেন থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করা হলো? এসব বিষয়গুলো সঠিকভাবে তদন্ত করলেই ‘ঘটনার ভিতরের আসল রহস্য’ উদঘাটিত হবে বলে জানান হয়রানির শিকার কাইছাবাড়ি এলাকার সাধারণ মানুষ।

মো. আল মামুন খান/বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর