ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা নেই নদীতে

ভোলার বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলার মেঘনা-তেঁতুয়িায় ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা পাচ্ছে না জেলেরা। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরছেন জেলেরা।

একদিকে মহাজনের দাদনের টাকা অপরদিকে নদীতে ইলিশের আকাল। সব মিলিয়ে দু’র্দিন যাচ্ছে দুই উপজেলার কয়েক হাজার জেলে পরিবারের।

মেঘনা তীরবর্তি জেলেরা জানালেন, তাদের পরিবারের জন্য তিন বেলা খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ৭ হাজার ৬৫০ জন ও দৌলতখান উপজেলায় ১১ হাজার ৫৫০ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। মৎস আহরণে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে সরকারি চাল দেয়া হলেও তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য। দুই মাস জাটকা সংরক্ষণ ও বাইশ দিন মা ইলিশ রক্ষা সহ সব আইনই তারা মেনে চলেছেন। কিন্তু যেখানে মাছ বেশি পড়ার কথা, সেখানে মাছের দেখাই নেই।

মেঘনায় ইলিশ শিকারে যাওয়া জেলেরা জানায়, একবার নদীতে জাল ফেলতে কমপক্ষে দুই হাজার টাকা খরচ আছে। কিন্তু হাজারখানেক টাকার মাছও মেলে না। তারা জানান, প্রত্যেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মহাজন থেকে দাদন নিয়েছেন। মহাজনকে মাছ বিক্রির টাকা থেকে শতকরা ১০ টাকা করে দিতে হয়। বছর শেষে মূল টাকা ফেরত দিতে হয়।

জেলে নুর নবী মাঝি, জাহাঙ্গীর মাঝি, মাইনুদ্দিন ও সেলিমরা জানান, প্রতি বছর অভিযানের পর জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়তো। এবছরই মাছের দেখা নেই।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলী আহাম্মদ আকন্দ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জানান, নদীতে মাছ কেন কম পড়ছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। মিঠা পানির প্রবাহ কম হওয়ায় এরকম হতে পারে।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর