৬ বছর পর দেশে সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হলো
এ বছর দেশে যে পরিমাণ পশু কোরবানি হয়েছে তা ২০১৬ সালের পর সর্বনিম্ন রেকর্ড। এবারের ঈদুল আযহায় দেশে মোট কোরবানি হয়েছে ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি গবাদিপশু। এদের মধ্যে রয়েছে ৪০ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৯টি গরু-মহিষ, ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৮টি ছাগল-ভেড়া ও ৭১৫টি অন্যান্য পশু।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনার প্রকোপে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাই অনেকেই এবার কোরবানি দেননি। আগে যারা একা কোরবানি দিতেন এবার তারা দিচ্ছেন ভাগে। এজন্য গরুর চাহিদা ছিল কম। শুরুর দিলে যেব ব্যবসায়ী অল্প দামে গরু বিক্রি করেছেন তাদের লোক্সান কম হয়েছে। আর যারা অধিক লাভের আশায় বিক্রি করেননি তারা বিপুল লোকসান গুনেছেন।
রাজধানীর পশুর হাটে মূলত মাঝারি ও বড় গরুর চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু এ বছর মাঝারি গরুর চাহিদা কিছুটা থাকলেও বড় গরু তেমন বিক্রি হয়নি।
২০১৪ সালে ভারত থেকে বৈধ পথে গরু আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নেশ কিছু প্রকল্পের কারণে কারণে ২০১৬ সালেই কোরবানির পশুর সংখ্যা প্রথমবারের মতো ১ কোটি ছাড়িয়ে যায়। ওই বছর ১ কোটি ৫ লাখ পশু কোরবানি হয়। ২০১৭ সালে ১ কোটি ৪ লাখ গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার সঙ্গে হাজারখানেক দুম্বা, উট ও গয়াল কোরবানি হয়। ২০১৮ সালে ১ কোটি ৫ লাখ পশু কোরবানি হয়। ২০১৯ সালে কোরবানি হয় ১ কোটি ৬ লাখ পশু।
২০২০ সালে করোনাকালে প্রথম ঈদে কোরবানির সংখ্যা কমতে শুরু করে। সেবার ৯৪ লাখ ৫০টি পশু কোরবানি হয়। চলতি বছর দেশে কোরবানির উপযুক্ত পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৯ লাখ ১৭ হাজার।
শনিবার (২৪ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বছর হাট এবং অনলাইন মিলিয়ে মোট ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। ফলে অবিক্রীত থেকে গেল ২৮ লাখ ২৩ হাজার ৭৫৮টি পশু।
বার্তা বাজার/এসজে