ভারতে ৩ জেএমবি সদস্য গ্রেফতার: পলাতক সেলিম বাংলাদেশে!

গত শনিবার (৩ জুলাই) ভারতের কলকাতার হরিদেবপুর থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআ’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ-জেএমবির ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর আলোচিত হচ্ছে বাংলাদেশের আরো একজনের নাম। তিনি সেলিম মুন্সি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, অভিযানে ৩ জন গ্রেপ্তারের পর জেএমবি সদস্য সেলিম মুন্সি বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। তবে যোগাযোগ করেও সেলিম সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি দেশের আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীগুলোর কাছে।

কলকাতার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স-এসটিএফ গত ১১ই জুলাই হরিদেবপুর থেকে জেএমবির নাজিউর রহমান ওরফে জয় রাম ব্যাপারী, মিকাইল খান এবং রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এ তিনজনই বাংলাদেশের নাগরিক। এসটিএফ জানিয়েছে, জেএমবিরর এক শীর্ষ নেতার নির্দেশেই ভারতে এসেছিল নাজিউর-মিকাইল এবং রবিউল, চলছিল নাশকতার ছক। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সাথেও তাদের যোগসূত্র পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত হয় এসটিএফ।

ডিসি এসটিএফ (কলকাতা) অপরাজিতা রায় বলেন,’জানা গেছে তারা নিষিদ্ধ সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য। সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তাদের সাথে আইএসআইয়ের ও যোগাযোগ রয়েছে।’

উদ্ধার হয়েছে একটি ডায়রি, যাতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের পাশপাশি সেলিম মুন্সি নামে আরও একজনের যোগ থাকার কথাও জানতে পেরেছে এসটিএফ। তবে, এখনও সেলিমের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। ভারতীয় পুলিশ সন্দেহ করছে, সেলিম বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

এসটিএফ (কলকাতা) জেসিপি সালোম্যান নেশাকুমার জানান,’বেশ কিছু জিহাদী লিটারেচার পাওয়া গিয়েছে। তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এ্যানালাইস করা হয়েছে। তাতেও বেশ কিছু জিহাদী ইনভল্বমেন্ট এক্টিভিটিস পাওয়া গেছে। একটা মোবাইল ফোন সিজ করা হয়েছে। আর একটা হাতে লেখা ডাইরী পাওয়া গেছে, তাতে বেশ কিছু জামায়াতুল মুজাহিদীন নেতাদেন নাম ও নাম্বার পাওয়া গেছে।’

কে এই সেলিম মুন্সি? জানা গেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার হিরন গ্রামের সন্তান সেলিম মুন্সী আনুমানিক ২৫ বছর ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করেন। হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ জুজিবির শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানের আত্মীয়।

ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে সেলিম মুন্সিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসার তথ্যের পর সেলিম মুন্সিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টাও শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে বিভিন্ন সূত্রে। তবে এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর এবং র‌্যাব এর সদর দপ্তরে যোগাযাগ করেও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এর আগে ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন ঢাকার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পশ্চিমবঙ্গের ওই চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স-এসটিএফ।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন,’এই তিনজন ছেলে জিহাদের জন্য যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছে এই তথ্যটা আমরা জানতাম এবং যথাস্থানে এই তথ্যগুলো জানানো হয়েছিলো।’

তবে সেলিম মুন্সি সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

বার্তাবাজার/পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর