কালিগঞ্জে দলিত জনগোষ্টীর বাড়ি ঘর দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: দলিত জনগোষ্ঠীর এক সদস্যের জমি কিনে তার সহোদরের জমি জবরদখলের চেষ্টা ও হুমিকর ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সস্মেলন করেন কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া রামচন্দ্রপুর গ্রামের ভরত চন্দ্র ঋষির ছেলে দেবদাস ঋষি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করে দেবদাস ঋষি বলেন, পৈত্রিক সূত্রে তার বড় ভাই নিরঞ্জন ঋষি ও তিনি ১৬ শতক করে জমি পেয়ে অংশ অনুযায়ি বাড়ি ঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি তার বড় ভাই নিরঞ্জন ঋষির সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না। মাস খানেক আগে বড় ভাই তার অংশের ১২ শতক জমি প্রতিবেশি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা রুস্তম গাজীর কাছে বিক্রি করেন। বিক্রির সময় দলিল রুস্তম আলী নিজের ইচ্ছামত জমির নকশা তৈরি করে নেন। নকশা অনুযায়ি তিনি জমি দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। এরই জের ধরে রুস্তম গাজীর ছেলে রুবেল তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে গত ২৪ জুন তার(দেবদাস) ঘরবাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। এ সময় রুবেল হুমকি দিয়ে বলে যে, তাদের কাছে জমি কম দামে বিক্রি করে বড় ভাই নিরঞ্জন ঋষির মত ভারতে চলে না গেলে এমন একদিন আসবে তারা জমির বাবদ কোন টাকাই পাবি না। বিষয়টি কালিগঞ্জ থানাকে অবহিত করলে সহকারি উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেনকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেওয়ার জন্য থানা থেকে বলা হয়। সে অনুযায়ি গত বুধবার তাদের বাড়িতে উভয়পক্ষকে ডেকে শালিসি বৈঠক করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন। সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকলেও তারা ওই দিন সিদ্ধান্ত না মেনে বৃহষ্পতিবার আবারো বসার কথা বলে সময় চান। এরপরও বৃহষ্পতিবার তারা বসেননি। এমতাবস্থায় তারা জীবনের নিরাপাত্তা ও জমি জবরদখলকারিদের হাত থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দেবব্রত ঋষির ছেলে বাপ্পি ঋষি।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেনের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে রুস্তম গাজী বলেন, এক মাস আগে তিনি তার স্ত্রী জামিলা বগমর নাম নিরঞ্জন ঋষির কাছ থেকে ১২ শতক জমি কিনেছেন। ২০১৩ সালের মৌখিক আপোষ অনুযায়ি নিরঞ্জন যেভাবে পুকুর ও ভিটা দখল করতেন দেবদাস সেটা না মন শুধু ভিটা দখল রাখতে চান। এ কারণেই বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানাবেন বলে জানান।
/

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর