সড়কে ধ্বস,দূর্ভোগে ৬ ইউনিয়নের বাসিন্দারা

সুজন মোহন্ত,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি- কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের অর্ন্তগত কুড়িগ্রাম থেকে যাত্রাপুর সড়কে শুলকুর বাজার এলাকায় দীর্ঘদিনের পুরনো ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রীজ নির্মান করার জন্য গত ২০১৮ সালের শেষের দিকে জনগনের দূর্ভোগ লাঘবের জন্য একটি বিকল্প কাঠের ব্রীজ নির্মান করা হয় । দীর্ঘদিন ধরে ব্রীজটি দিয়ে জনগন চলাচল করলেও গত ২৫ জুন মঙ্গলবার সন্ধার দিকে, অতিরিক্ত পানির চাপে বিকল্প ব্রীজটি ভেঙ্গে যায় ,যার ফলে ভীষণ দূর্ভোগ পোহাচ্ছে এই অঞ্চলের ৬ ইউনিয়নের বাসিন্দারা । বৃহঃবার বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ধরলা নদীর তীব্র পানির স্রোতে বিকল্প সড়ক ব্রীজটির দুই দিকের অংশ ভেঙে পরায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

পাঁচগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মাস্টার বার্তা বাজার কে জানান, “কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কের শুলকুর বাজার এলাকায় ধরলার এই শাখা পয়েন্টে নতুন ব্রীজ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এখানে বিকল্পভাবে দুদিকে মাটি কেটে সেতুর উপর দিয়ে লোকজন ও যানবাহন চলাচল করছিল। মঙ্গলবার বিকল্প সড়কের সেতুর দুদিকে ধরলা নদীর তীব্র স্রোতে ভেঙে পরায় শতশত মানুষ এখন ভোগান্তিতে পড়েছে ।”

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পাঁচগাছি, যাত্রাপুর, ঘোগাদহ, বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগার বিভিন্ন চরের মানুষ চলাচল করে। সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আপাতত মানুষ নৌকায় পারাপার করছে। জনপ্রতি গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা । একই ব্যাক্তি দৃইবার নদী পার হলে দিতে হয় ২০ টাকা আর সঙ্গে গরু বা মোটরসাইকেলের মাথাপিছু দিতে হয় ১০ টাকা ।স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ সরকার বার্তা বাজারকে বলেন,”বিকল্প পথটি নির্মাণ সঠিকভাবে হয়নি। ব্যয় ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেখানো হলেও কাজ হয়েছে নামে মাত্র। পথটি উঁচু করে নির্মাণ করা হয়নি। তাছাড়া বেইলি সেতুর বদলে নির্মাণ করা হয়েছে কাঠের একটি ছোট সেতু। ফলে একদিনের বৃষ্টির প্রভাবেই সেতুর দুইপাশের মাটি ধসে গেছে।” এ বিষয়ে সেতু নির্মানকারী প্রতিষ্ঠানে ঠিকাদার এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমীন মুঠোফোনে বার্তা বাজারকে জানান,”আমরা বিকল্প পথটি সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর