কারখানায় কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হত শিশুশ্রমিক

রুপগঞ্জে ‘হাসেম ফুডস’ কারখানার মালিকপক্ষ কারখানায় কাজের জন্য কম বেতনে একাধিক শিশুশ্রমিক নিয়োগ দিতেন যাদের বয়স কেবলমাত্র ১০ থেকে ১২ বছর এবং  বেতন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা দিলেই হত। যেখানে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী তৈরির কারখানায় প্রাপ্তবয়স্ক একজন শ্রমিক নিয়োগ করলে মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেতন দিতে হত।

রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞসাবাদে তাঁর উত্তর ছিল, চরম অনিয়ম ও অবহেলায় কর্মীদের তালাবদ্ধ করে আটকে রাখা হয়। আসলে তিনি এই কথার মাধ্যমে নিজের দোষ ঢাকতে চাচ্ছেন। তবে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা না করা, ভবনে ত্রুটি ও তালাবদ্ধ করে রাখা এবং সবক্ষেত্রে যথারীতি নিয়ন-কানুন না মানায় তাঁর উত্তর অগ্রহণযোগ্য রয়ে গেছে।

গতকাল সোমবারও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে নিহতের স্বজনদের লাশ নেওয়ার জন্য দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গতকাল পর্যন্ত ৪৮ জন কে শনাক্ত করতে ৬৮ জন নমুনা দিয়ে গেছেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ ১২ বছর বয়সী শান্তামণির মা শিমু আক্তার বলেন, কম বয়সে শিশুকে কাজ দেওয়ার কারণেই আজ ছেলেটাকে হারাতে হল। অগ্নিকাণ্ডের দুই দিন আগে ঠিকাদার রিপনের অধীনে অস্থায়ী ভিত্তিতে হাসেম ফুডসের ভবনটির চারতলায় কাজ নেয় শান্তামণি।

এমনই অনেক শান্তামণিকে হারিয়ে এখনও চোখের জল ফেলছেন তাদের স্বজনরা। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটিরা এখনও নমুনাগুলো সংগ্রহ করছেন এবং তা বিশ্লেষণ করে দেখছেন।

বার্তা বাজার/এস

 

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর