রিফাতকে বাঁচাতে এগিয়ে যান ছাত্রদল নেতা

বরগুনায় রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার সময় কেউ এগিয়ে যাননি কথাটি সঠিক নয়। হামলাকারীদের নিবৃত করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন রনি নামে এক যুবক। যিনি স্থানীয় ছাত্রদল নেতা।

রনির মতো আর কয়েকজন এগিয়ে গেলেই রিফাতকে বাঁচানো যেত বলে মনে করেন স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নি। বুধবার বরগুনায় দিনেদুপুরে যখন এই হামলার ঘটনা ঘটে, তখন আশপাশের লোকজন নির্বিকার সে দৃশ্য দেখছিলেন। তখন হামলাকারীদের নিবৃত করতে এগিয়ে যান বরগুনা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল ইসলাম রনি। কিন্তু হামলাকারীরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় পেরে ‍ওঠেননি এই তরুণ।

ছাত্রদল নেতা রনির এগিয়ে আসার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা আক্তার মিন্নি ।বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রনির ভাইয়ের মতো আরও ৫ জন এগিয়ে এলে আমার স্বামী রিফাত শরীফ বাঁচত।’

মিন্নি এর আগে আরো জানিয়েছেন, তার স্বামীকে যখন কোপানো হয় তখন পাশে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে কয়েকজন হামলাকারী।সবাই নীরবে দাঁড়িয়ে থাকলেও নিজে থেকে রিফাতকে বাঁচাতে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নুরুল ইসলাম রনি বলেন, সবাই দাঁড়িয়ে হত্যাকাণ্ড দেখবে সেটা কখনো হয় না। আমি যেহেতু মানুষ সেই হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। যতটুকু পেরেছি ততটুকু করেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারলাম না রিফাত শরীফকে।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রিফাতের বাড়িতে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।বুধবার সকালে বরগুনা সরকারি কলেজ রোড়ে সন্ত্রাসীরা স্ত্রীর সামনেই কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রিফাত শরীফকে। পরে বিকেলে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর