রিফাত হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী জীবন ইসলাম

বুধবার (২৬ জুন) সকালে ঘটনার সময় বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে দিয়ে বাজারে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে দেখতে পাই, কিছু অল্প বয়সী যুবক রিফাতকে টেনে-হিঁচড়ে কলেজ গেট থেক বের করছিল। নয়নসহ আরও কয়েকজন কলেজের সামনে ক্যালিক্স একাডেমির পূর্ব পাশের গলিতে অবস্থান করছিল। যে যুবকরা রিফাতকে টেনে-হিঁচড়ে বের করছিল সেখান থেকে একজন ক্যালিক্স একাডেমির গলিতে দৌড়ে যায়। এরপর ওইখান থেকে নয়নসহ দুই-তিনজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে বের হয়ে রিফাতকে কোপাতে থাকে।

এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী জীবন ইসলাম (ছদ্মনাম)।

তিনি আরও বলেন, ‘ রিফাতকে কোপানোর সময় ওই যুবকরা পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। মেয়েটি (মিন্নি) যখন বার বার হামলাকরীদের সরিয়ে নিচ্ছিল তখন আমিও তাদের সরতে বলি। কিন্তু তাদের কাছে ধারালো অস্ত্র থাকায় কাছে যেতে সাহস পাইনি। রিফাতকে কোপানোর পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। সবমিলিয়ে চার থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।’

উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের ফেরাতে পারেননি। রিফাতকে উপর্যুপরি কুপিয়ে বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে হামলাকারীরা। গুরুতর আহত রিফাতকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টার দিকে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বরগুনা সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন তিনি। প্রধান আসামি করা হয়েছে খুনের মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন নয়নকে, যে এলাকায় ‘নয়ন বন্ড’ নামেও পরিচিত। মামলার চার নম্বর আসামি চন্দনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর