থানায় ঘুষের দাবিতে আসামি নির্যাতন : দুই ওসিসহ ১৪ পুলিশের নামে মামলা

কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় এক আসামীকে নির্যাতন ও মামলা থেকে অব্যহতির দিতে ঘুষ দাবির অভিযোগে দুই ওসি ও ৮ এসআই সহ ১৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে ভোক্তভোগি পরিবার।

কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোখলেছুর রহমান, ওসি তদন্ত বাহলুল খান বাহার, এসআই আনোয়ার হোসেন মোল্লা, মোখলেছুর রহমান রাসেল, আব্দুল আজিজ, আবুল খায়ের, অভিজিৎ দাস, আমজাদ হোসেন, জালাল উদ্দিন, মতিউজ্জামান ও ৪ কনস্টেবলসহ ১৪জনকে আসামী করে আজ বৃহস্পতিবার ভৈরব পৌর শহরের ভৈরবপুর দণিপাড়া গ্রামের শেখ সাদিয়া সুলতানা ও একই এলাকার শেখ শাহানাজ আক্তার সুমনা বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো: সায়েদুর রহমান মামলা দুটির প্রাথমিক অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পুলিশ সুপার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন, ময়মনসিংহ সমন্বিত কার্যালয়ে সকল কাগজপত্র পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি সাদিয়া সুলতানার ভাই শেখ আশরাফুল আলম বিজনকে ভৈরব থানা পুলিশ একটি মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ওই বছরের ১১ মার্চ হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান আশরাফুল আলম বিজন।

এ মামলায় কারাগারে থাকার সময় সংঘটিত অন্য একটি হত্যা মামলায় তাকে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে এ মামলায় জামিন পেয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি বিকেলে ভৈরব থানায় যান বিজন। ওই সময় ভৈরব থানার এসআই ও দুই ওসি হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার কথা বলে তার কাছে ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পুলিশকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়।
অপরদিকে শেখ আশরাফুল আলম বিজনের স্ত্রী শেখ শাহনাজ আক্তার সুমনার দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় শারিরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে ভৈরব থানার দুই ওসি সহ ৮ এসআই ও ৪ কনস্টেবলকে অভিযুক্ত আসামি করা হয়েছে।

ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, ভৈরব থানার একটি মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি পুলিশ বিজনকে আটক করে। একই বছরের ১১ মার্চ তিনি জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু বিজন জেলে থাকার সময় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সংগঠিত অপর একটি হত্যা মামলায় আশরাফুল আলম বিজনকে আসামি দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এবং চলতি বছরের ১৮ মে পুলিশ বিজনকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে রাতের আঁধারে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহ করেন। আহত অবস্থায় তাকে কারাগারে পাঠানো হলে আদালতের নির্দেশে বিজনকে জেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর