প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের খুঁটির জোর কোথায় ?

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ দাম্ভিকতা আর ক্ষমতার দাপটে গ্রাহকদের সাথে দূর্ব্যবহার আর অশালীন আচরণ এখন নিত্যদিনের কার্যক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের। তার এ রকম আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারন গ্রাহকরা। গত ২৩ শে জুন গোবিন্দাসী ইউনিয়নের যদুরগাতি গ্রামের আলিম নামের বয়স্ক এক হার্টের রোগী বিল সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের কক্ষে প্রবেশ করেন। এসময় আব্দুল আলিম তার সমস্যার কথা উল্ল্যেখ করে বিলের কাগজ বের করতেই ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন রাজ্জাক। শুরু করেন অশালীন আচরণ। একপর্যায়ে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে রুমের বাইরে পাঠিয়ে দেন। চোঁখের পানি মুঁছতে মুঁছতে অফিস থেকে বের হয়ে আসেন। সরাতৈল গ্রামের আরেক গ্রাহক মর্জিনা বেগম। গত ২৬ শে জুন মিটার সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে তার এক আত্মীয় লুৎফরকে সাথে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের কাছে যান। বিষয়টি শোনার সাথে সাথে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন। হতবাক হয়ে যান গ্রাহক। পরে কোন সমাধান ছাড়াই মনে কষ্ট নিয়ে বের হয়ে আসেন তিনি। শুধু আলিম আর মর্জিনা নন এরকম হাজারো অশালীন ও খারাপ আচরণের স্বাক্ষী এই নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক।

আব্দুল আলিম জানান, তিন মাস আগে আমি বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েছিলাম বিলের একটি কাগজ নিয়ে। আমাকে দুই আড়াই মাস পর আসতে বলছিলেন। আমি অসুস্থ থাকার কারনে তিনমাস পর ২৩ শে জুন নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাকের অফিসে যাই। তিনি আমার কাগজ হাতে নিয়ে ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন। কে তোমাকে এখানে ঢুকতে বলছ, কার অনুমতি নিয়ে আসছো। এই বলে অশালীন আচরণ শুরু করেন। প্রায় ১০-১৫ মিনিট তিনি এ ধরনের আচরণ করতে থাকেন। এমন আচরণে অবাক হয়ে যাই আমি। পরে দরজা খুলে আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়। পরে আমি কাঁদতে কাঁদতে চলে আসি। গরীব বলে আমাকে মানুষই মনে করেননি তিনি।

লুৎফর রহমান জানান, মিটারের সমস্যা নিয়ে নির্বাহী প্রকৌলীর রুমে প্রবেশ করে আমার সমস্যা বলতে গেলে কথা শেষ করার আগেই তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন ও অশালীন আচরণ শুরু করেন। পরে মনের কষ্টে সেখান থেকে বের হয়ে আসি।

অভিযোগের বিষয়ে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি কাউকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের দেইনি। আমার অফিসের কেউ এটা করছে কিনা এটা আমার জানা নেই।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর