বিশ্বকাপের মাঝপথে ভারতীয় ক্রিকেটারের মৃত্যু, গভীর শোক কোহলিদের

ভারতীয় ক্রিকেট দল বিশ্বমঞ্চের আসরে লড়তে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন।আর এরই মধ্যে দুঃংবাদ।না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলার বিখ্যাত ক্রিকেটার শ্যামসুন্দর মিত্র।এতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং নাবেক ওবর্তমান ক্রিকেটাররা।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে ৮২ বছর বয়সে দৌড় থামে ভারতীয় এই ব্যাটসম্যানের।

বাংলার হয়ে ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন এই ব্যাটসম্যান। মোট ৫৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ৭৮টি ইনিংস খেলে তিনি মোট ৩,০৫৮ রান করেছিলেন। ক্রিকেট কেরিয়ারে তার শতরানের সংখ্যা ৭। অর্ধ শতরান করেছেন ১৭ টি। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও তিনি ছিলেন কার্যকর। কেরিয়ারে মোট ১৫টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

১৯৩৬ সালের ৮ নভেম্বর জন্ম এই ক্রিকেটারের। বাংলার ক্রিকেট মহলে তিনি ‘শামুদা’ নামেই পরিচিত। জাতীয় দলে খেলতে পারতেন তিনি। একবার শ্যামসুন্দর মিত্র বলেছিলেন, ‘মোহনবাগানে খেলার জন্য আমি আর জাতীয় দলে সুযোগ পাইনি।’ সেই সময়ে ভারতীয় বোর্ডে স্পোর্টিং ইউনিয়নের এক কর্তার দাপট ছিল। সেই কর্তা তার ক্লাবে খেলার কথা বলেছিলেন শ্যামসুন্দর মিত্রকে। কিন্তু, মোহনবাগান ছেড়ে স্পোর্টিং ইউনিয়নে যাননি এই ক্রিকেটার। ফলে ভারতীয় দলেও ডাক পাননি তিনি।

বাংলার হয়ে অসাধারণ সব ইনিংস খেলেছেন শ্যামসুন্দর মিত্র। বিহারের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে রঞ্জি অভিষেক ঘটেছিল শ্যামসুন্দর মিত্রের। ১৯৬৮ সালে রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তাঁর অপরাজিত ১৩৫ রানের ইনিংস এখনও মনে রয়েছে সুনীল গাভাস্কারও।

১৯৬৩ সালের রঞ্জি ট্রফিতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শ্যামসুন্দর মিত্র ভাঙা কব্জি নিয়ে ৯৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সে বার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড চার জন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলারকে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডাকসাইটে ফাস্ট বোলার রয় গিলক্রিস্ট হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছিলেন সে বার।
গিলক্রিস্টের আগুনে বোলিং সামলে শ্যামসুন্দর মিত্র ৯৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। যদিও সেই ম্যাচে পঙ্কজ রায় দু’ ইনিংসে শতরান করেছিলেন। কিন্তু, শ্যামসুন্দর মিত্রের ধৈর্যশীল ইনিংস নিয়ে এখনও চর্চা হয় ভারতীয় ক্রিকেটে। বঙ্গক্রিকেট তার অবদানের জন্য সিএবি-র তরফ থেকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মান দেওয়া হয় তাকে। বছরখানের ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। আজ, থেমে গেল ময়দানের প্রিয় ‘শামুদা’র লড়াই।

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর