করোনার লাগাম টানতে দেশে কাউফিউ জারির পরামর্শ

করোনার সংক্রমণ উর্ধ্বমূখী। মৃত্যুর হার ও সংখ্যা কমার কোনো লক্ষনই দেখা যাচ্ছে না। চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনেই দেশে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন আরও অর্ধালক্ষাধিক মানুশ। হাজারেরও বেশী মানুষ এই সময়ে মারা গেছেন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে। এমতাবস্থায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর লাগাম টেনে ধরতে মরিয়া হয়ে পড়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বলা হচ্ছে অস্বাভাবিকভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে চিকিৎসাসেবা ও অক্সিজেন সরবরাহ চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এমন প্রেক্ষাপটে করোনার লাগাম টানতে প্রয়োজনে কারফিউ জারির পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশের মানুষকে ঘরে রাখার জন্য কমপক্ষে দুই সপ্তাহের কার্যকর লকডাউন জারি করতে কারফিউ জারির পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, দৈনিক কমপক্ষে এক লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষা করা, পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে সবাইকে আইসোলেশনে রাখা খুব জরুরি। নইলে অবস্থা ভয়াবহ হতে বেশি সময় লাগবে না।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মত করোনার সংক্রমণ দেখ দিলেও কয়েকমাস পর থেকে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। বছরের শেষে দিকে কমতে থাকলেও চলতি বছরের মার্চ থেকে পূণরায় বাড়তে শুরু করে। যার ফলে মার্চ থেকে শুরু হয় বিধিনিষেধ। ঈদের পরপর সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে মারাত্মকভাবে। কয়েকদিনের মধ্যেই আশেপাশের জেলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণের হার বেড়ে যায় অস্বাভাবিকভাবে।

সর্বশেষে বুধবার (০৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ২৪ ঘণ্টায় দেশে এক দিনে মারা গেছেন ২০১ জন। আর শনাক্ত ১১ হাজার ২৬২ জন।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর