ছেলের হার্টে ছিদ্র, চিকিৎসার সামর্থ্য নাই বাবার

৩ বছর বয়সী সন্তান ওসামা মিয়ার জন্য লড়াই শুরু করেছেন চা দোকানদার এক বাবা। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাবা-মায়ের কোলজুড়ে আসে ওসামা। সন্তানকে নিয়ে বেশ আনন্দেই কাটছিল তাদের দিন। সেই আনন্দ তাদের বিষাদে পরিণত হয়েছে যখন জানতে পারে ওসামার হার্টে ছিদ্র রয়েছে।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা রহিম উদ্দিনের ছোট ছেলে ওসামা। একসময় একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করলেও এখন আর আগের মতো কাজ করতে পারেন রহিম উদ্দিন। তিনিও অসুস্থ। কিন্তু আদরের ছেলের এতবড় রোগ শুনে ঘরে বসে থাকতে পারেন না তিনি। তাই তিনি হয়ে যান চা বিক্রেতা।

সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ার এলাকায় অনেকটা খোলা আকাশের নিচেই চা বিক্রি করেন তিনি। বেশি চা বিক্রি হলেই হয়তো ছেলের চিকিৎসার টাকা জোগাড় হয়ে যাবে বলে ধারণা তার।

এলাকার কয়েকজন মানুষের কাছে টাকা ধার করে সম্প্রতি ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে যান রহিম উদ্দিন। শিশু ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট বিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমাকে দেখালে তিনি ওসামার হার্টের ছিদ্রের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং অপারেশনের জন্য প্রায় ৩ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানান।

ওসামার বাবা রহিম উদ্দিন বলেন, আমার যা ছিল ওসামার প্রথম দিকের চিকিৎসায় শেষ হয়ে গেছে। এখন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে সাহায্যের জন্য যাই কিন্তু কোনো সাড়া পাই না।

তিনি বলেন, আমি সামান্য চা বিক্রি করি। চাই বেছিয়া যা পাই তা দিয়া সংসার চলে আর বাকি টাকা আমার পোয়ার চিকিৎসার লাগি রাখি দেই। ডাক্তার আপা বলেছেন যদি সঠিক সময়ে তার চিকিৎসা না হয় তাইলে ছিদ্র দিন দিন বড় হবে এবং সে মারাও যেতে পারে।

ওসামার মা খায়রুন নেছা বলেন, আমার ঘরের দুই ছেলে। বড় ছেলের বয়স ৬ বছর। আর তার বয়স মাত্র ৩ বছর। আমার ছোট ছেলেটা বুঝতেই শিখলো না এরই মধ্যে এতবড় রোগ দিছোইন আল্লাহ। ডাক্তার কইছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন করার লায়। এখন আমরার এ সামর্থ্য নাই। তিন লাখ টাকা আমরার লাগি অনেক টাকা।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর