মিমির বিজয় উৎসবে অশ্লীল নাচ, গ্রেফতার-৩

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী গেল মাসেই বিজয়ী হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের ভাঙড় আসন থেকে তিনি জয়ী হন। বিজয়ের আনন্দে সেলিব্রেশন হবে না তা কি হয়। তাই আসর বসানো হয় নাচ গানের। এ নিয়েই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

কলকাতা থেকে বার ডান্সার এনে চটুল গানে অশ্লীল নৃত্য হল সোমবার রাতে ভাঙড়ের নিমকুড়িয়া গ্রামে। পুলিশের কোনও অনুমতিই ছিল না এই অনুষ্ঠানের। চটুল নাচ চলছে এমন অভিযোগ পেয়ে রাতেই সেই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় কাশীপুর থানার পুলিশ। এ ব্যপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ব্লক সভাপতি ওহিদুল ইসলাম।

ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘এর সঙ্গে দলের কেউ যুক্ত নন। তবে ঘটনাটি খুবই নিন্দাজনক। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।’

স্থানীয় সূত্রে খবর, এবারের লোকসভা নির্বাচনে নিমকুড়িয়া গ্রাম থেকে ভাল সমর্থন পেয়েছে তৃনমূল। তাই দলের নির্দেশে যখন বিজয় মিছিল করা বারণ তখন এলাকায় একটি বিচিত্রানুষ্ঠানের দাবি জানান কেউ কেউ। অনুগামীদের দাবি মেনে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনসার মোল্লা প্রথমে কাওয়ালির আসর করবেন বলে রাজি হয়েও পরে বার ড্যান্সার আনার সিদ্ধান্ত নেন। আর তাতেই অপসংস্কৃতির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের ওই নেতার বিরুদ্ধে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘মেয়ে গুলো অর্ধ উলঙ্গ হয়ে এত বিশ্রী অঙ্গ ভঙ্গি করে নাচছিল মনে হচ্ছিল যেন চোখের সামনে নীল ছবি দেখছি। বাচ্ছা, স্কুল পড়ুয়া সবাই লজ্জায় মুখ ঢাকে।”
অনুষ্ঠানের খবর পৌঁছায় কাশীপুর থানার কাছে। রাতেই কাশীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। অভিযুক্ত উপ প্রধান আনসার মোল্লার ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বছর সাতেক আগে এক বিচিত্রাঅনুষ্ঠানে একই রকম ভাবে টাকা ওড়াতে দেখা গিয়েছিল শাসক দলের কয়েক জন নেতাকে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ব্যবস্থা নেয় দল। এবারও ঘটল সেই একই ঘটনা।

কাশীপুর থানার শানপুকুরে অশ্লীল নৃত্যের ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। এবং এই ঘটনায় জড়িতদের ধরপাকড় করা শুরু হয়েছে । এখনও পর্যন্ত তিনজন গ্রেফতার হয়েছে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর