করোনায় সচেতন থাকুন,বাঁচুন এবং বাঁচান

করোনা মহামারী সমগ্র বিশ্বে জুড়ে। এই ভাইরাসের তান্ডব দেখেছে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্র গুলো। করোনাভাইরাস এক সাথে তান্ডব দেখায় নি। কয়েকটি ভাগে দেখিয়েছে এর ভয়াবহ রুপ। যেমন, প্রথম ধাপে বিশ্বের অনেক দেশে করোনায় বহু লোক মারা গেছে। তখন মৃত ব্যক্তিদের দাফন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে দেশগুলো। তার পরে দ্বিতীয় ধাপে তান্ডব দেখিয়েছে অন্য দেশগুলোতে।

তাছাড়া এই ভাইরাসের কারণে পৃথিবী নানাবিধ সমস্যার সম্মুখিন হয়েছে। গত প্রায় দেড় বছর যাবৎ পৃথিবীর একটি দুর্যোগময় সময় যাচ্ছে। চীনের উহান থেকে শুরু করে সারা পৃথিবী দাপিয়ে বেড়িয়েছে করোনা। এই ভাইরাসের নাম করোনা হলেও, “কোনো দেশ বা ব্যক্তিকে করুণা করেনি ভাইরাসটি”।

বিশ্বের প্রায় ১৯৩টি দেশে তান্ডব চালিয়েছে এবং এখনও তা চলমান।এই তান্ডবের কারণে প্রতিটি দেশ নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো, অথর্নীতিক সমস্যা, শিক্ষা সমস্যা, বেকারত্ব সমস্যা, দরিদ্রতা সমস্যা।

বাংলাদেশও এই তান্ডবের বাইরে নেই। কারণ, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে যেমন লোক মারা যাচ্ছে ঠিক তেমনই চাকুরী হারিয়ে বেকার হয়েছে অনেকে। এর ফলে দেশ একটি সংকটময় মুর্হুত পার করছে।

এদিকে কিছু দিন আগে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত করোনায় তান্ডবে লন্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এখনও সেখানে আক্রমণের মাত্রা কমায়নি ভাইরাসটি। সেই সাথে দেশে অক্সিজেনের ঘাটতিসহ নানা সমস্যা দেখে দিয়েছে। এর মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামের একটি উপর্সগ দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশেও কয়েক জনের দেহে এই উপর্সগ পাওয়া গেছে।

কথায় আছে মানুষ নাকি দেখে শিখে কিন্তু আমরা ভারতের এই নাজুক অবস্থা দেখেও শিখতে পারিনি। বর্তমানে দেশে যে হারে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে তাতে আমরা এখন ভারতেন মতো ভয়াবহ অবস্থার শিকার হবো নাতো?

মহামারি করোনার প্রার্দুভাব বেড়ে যাওয়া ও ভারতীয় ধরণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন ‘শাটডাউন’র সুপারিশ করেছে করোনায় গঠিত কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটি।

যে দেশের সীমান্তঘেষা এলাকাগুলো করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে, দেশের পরিণতি কি হয় সৃষ্টিকর্তা জানে। গত কয়েকদিন যাবৎ আমাদের দেশে যে হারে জেলা পর্যায়ে বেড়েছে এখন আমাদের সচেতন হওয়ার সময় হয়েছে।

যদি এখন সচেতন না হই তাহলে দেশ এক কঠিন মুহুর্ত পার করবে। যার ভুক্তভোগী হবে দেশের সাধারণ জনগণ। আমরা যদি একটু কষ্ট করে সরকারের নিদের্শনা মানি তাহলে হয়ত এর ফলাফল ভালও হতে পারে।

নিম্ন আয়ের লোকেরা ভাববে আমরা খাবার পাবো কোথায়, টাকা পাবো কোথায় আমাদের সমস্যা গুলো দেখবে কে? একটু স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করি তাহলেই আমরা প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবো। যেখানে দিনে তিন বেলা খাবার খেতাম, সেখানে খাবারের পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে আনা যায়। সেই সাথে তিন বেলার জায়গায় দুই বেলা খাবার খেলেও আমরা বাচঁতে পারবো। কিন্তু যদি সংসারের কর্মক্ষম ব্যক্তিটি মারা যায় তাহলে সারা জীবন খাবারের টাকা জোগাড় করবে কে?
আপনি বাচঁলে আপনার পরিবার বাচঁবে। আসুন সরকারের নিদের্শনা মেনে চলি। নিজে নিরাপদ থাকি, অন্যকে নিরাপদ রাখি।

বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর