স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা চলমান রাখার দাবি কুবি শিক্ষার্থীদের

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) চলমান সকল পরীক্ষা স্থগিত করার সুপারিশ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি। এ সুপারিশ জরুরী একাডেমিক কাউন্সিলে পর্যালোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কিন্তু এই সুপারিশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি পরীক্ষা স্থগিতের সুপারিশের বিষয় সামনে এলে শিক্ষার্থীরা নানা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

বিশবিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লিটন দাস বলেন, অনেকেই অনেক দূর থেকে শুধু পরীক্ষা দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আসছে, এখন হুট করে বন্ধ হয়ে গেলে তারা হতাশ হয়ে যাবে, আর এমন হতাশা থেকেই শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যার মতো চিন্তা করে বসে। তাই শিক্ষার্থীদের বিপদের মুখে না ফেলে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে পরীক্ষা চলমান রাখা উচিত।

শিক্ষার্থীরা ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ফেসবুক গ্রুপে এ বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকে।

বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সিফাত ফয়েজ বলেন, ‘পরীক্ষার আশায় আমরা বাড়ি ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। চলমান লকডাউনে বাড়ি ফেরা অনেকের জন্যই সম্ভব হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের আকুল আবেদন, এই পরিস্থিতিতে অনার্স ফাইনাল ইয়ার এবং মাস্টার্সের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হোক।’

একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘হাজার হাজার স্টুডেন্টের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হতেই পারে, তার জন্য পুরো পরীক্ষা স্থগিত করাটা যুক্তিসঙ্গত মনে করছি না। যাদের চূড়ান্ত পরিক্ষা চলমান বা রুটিন হয়ে গেছে তাদের পরিক্ষাগুলো নিয়ে নেয়ার অনুরোধ করছি।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গেলো বছর ডিসেম্বরের পর এখনও শিক্ষার্থীবান্ধব সীদ্ধান্ত নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছে। আশা করি প্রশাসন বৃহৎ স্বার্থের কথা চিন্তা করে পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী আনিস খান বলেন, ‘পরীক্ষা বন্ধ করে করোনা ঠেকানো সম্ভব? এ পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হইসে তাদের কি সম্পূর্ণ মেডিকেল সার্ভিস দেয়া হইসে? যদি নাই দেন তাহলে আমাদের নিয়ে চিন্তা করতেসেন কেন? যাদের ব্যাচের সমস্যা হবে সেটা অফ থাকুক, বাকিরা দিতে থাকুক।’

২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী সুমাইয়া তাবাসসুম। তিনি পরীক্ষা স্থগিত বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘যেসব ব্যাচে আক্রান্ত কেউ নেই বা যেসব ব্যাচ পরীক্ষা দিতে চায় তাদের অন্তত পরীক্ষা দিতে দেয়া হোক। আর এমনিতেই বাস-ট্রেন অফ। বাড়ি ফিরতেও সমস্যা হবে সবার।সুতরাং রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়ে ১৪ তারিখের পর অফ করে দেন। যেসব ব্যাচ দিতে চায়না তারা না দিক।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল বিভাগে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আটকে থাকা পরীক্ষা চালু করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি।

সাজ্জাত বাসার/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর