নীলফামারীতে মানসিক প্রতিবন্ধিকে ধর্ষণ: ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিয়ের প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ করার ফলে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক বাকপ্রতিবন্ধি যুবতীকে বিয়ে করতে অস্বীকারকারী দাদন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বোতলাগাড়ী মাঝাপাড়া গ্রামে রিকশা চালক রফিকুল ইসলামের মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ে পদ্মা (ছদ্মনাম)। মেয়েটির মা জয়তুন মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে। পাড়ার একেবারে নির্জন বাঁশঝাড় এলাকায় দরিদ্র রফিকুলের মাথাগোঁজার ছোট্ট ঘর।
মা ও বাবা কাজের জন্য বাইরে গেলে মেয়েটি একাই বাড়িতে থাকে। এই সুযোগে প্রতিবেশী মৃত তছির উদ্দিনের ছেলে দাদন ব্যবসায়ী আবু সালেহ (৫৫) ওই প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছে। এমতাবস্থায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন জিজ্ঞাসা করায় সে জানায়, আবু সালেহ তাকে বিয়ে করবে বলে মেলামেশা করেছে।
এতে রফিকুল কে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে অস্বীকার করে এবং কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায়। এমন পরিস্থিতিতে মেয়েটির মা জয়তন ২৪ জুন বৃহস্পতিবার সকালে সৈয়দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এর প্রেক্ষিতে পুলিশ দুপুর সাড়ে ১২ টায় আবু সালেহ কে তার মাঝাপাড়াস্থ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে গ্রেফতারকৃত দাদন ব্যবসায়ী আবু সালেহকে জেলা হাজতে প্রেরণ করে এবং ভিকটিম পদ্মা (ছদ্মনাম) শারীরিক পরীক্ষার জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এজাহারকারী জয়তুন জানান, মেয়ের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে আবু সালেহ কে জানালে সে দাদন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী হওয়ায় গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো আমার মেয়েকে দোষারোপ করে। এ ব্যাপারে যেন আর কোন কথা না বলি সেজন্য সে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এলাকায় কোন বিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে থানায় এসে এজাহার করেছি। আমি এর সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান মুঠোফোনে জানান, মেয়ের মায়ের এজাহারে ভিত্তিতে অভিযুক্ত আবু সালেহ কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পাবে।
তারিকুল ইসলাম সোহাগ/বার্তা বাজার/টি