বসুরহাটে ১৪৪ ধারা জারি, সাংবাদিক সুভাষ আহত

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ঘোষণা করায় ১৪৪ ধারার প্রথম প্রহরে প্রশান্ত সুভাষ (৪৪) নামের এক সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় তার দুই ছেলে, স্ত্রী ও মাকেও আহত করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ঘোষণার পর দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাদপুর গ্রামের হারান কবিরাজের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

সুভাষ ওই এলাকার মৃত স্বপন কুমার চন্দের ছেলে। তিনি একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রশান্ত সুভাষ জানান, কাদের মির্জার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তার অনুসারীরা এ হামলা চালায়। এসময় সুভাষের মা বেবী চন্দ্র চন্দ (৬৫), স্ত্রী অনিমা চন্দ্র (৩২), ছেলে রঞ্জু (১৫) কে আহত এবং বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে অনেক চেষ্টা করেও পৌরমেয়র আবদুল কাদের মির্জা বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বোন রোকেয়া বেগমের বাসায় রাতের আঁধারে হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বসুরহাট রূপালী চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার ঘোষণা দেয় মিজানুর রহমান বাদল সমর্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগ। এরপর একই স্থানে বিকেল ৩টায় পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দেন কাদের মির্জার অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগ। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

এর আগে গত ১৯ ফেবব্রুয়ারি কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন বার্তা বাজারের সংবাদ কর্মী বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। পরদিন (২০ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

বার্তা বাজার/এসজে