পলাতক আইনজীবী হাইকোর্টে হাজির, ধরিয়ে দিলেন আদালত

যে আসামিকে ১৫ দিনেও খুঁজে পায়নি সিআইডি, হাইকোর্টে হাজির হয়ে মামলায় পক্ষ হওয়ার আবেদন জানান তিনি। হাইকোর্টের ৩শ’ গজের ভেতরে থাকার পরও; তাকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় তদন্ত কর্মকর্তার ওপর ক্ষুব্ধ হন আদালত। জামিন জালিয়াতিতে জড়িত ওই আইনজীবীকে তুলে দেয়া হয় সিআইডির হাতে।

বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপের দখল নিয়ে সংঘর্ষের পরে মামলা হয় তিনটি। এসব মামলায় হাইকোর্টের ভুয়া জামিনের কাগজ নিয়ে জানায় যায় এক পক্ষের ৩০ জন।

বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসার পর ৩০ জনকে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তদন্তে বেরিয়ে আসে জামিন জালিয়াতিতে দুই আইনজীবীসহ ৪ জনের জড়িত থাকার বিষয়টি। জড়িতদের পাওয়া যাচ্ছেনা বলে বুধবার হাইকোর্টকে জানান তদন্ত কর্মকর্তা। এসময় নাটকীয়ভাবে ভার্চুয়াল কোর্টে জালিয়াতির সাথে জড়িত খোদ আইনজীবী জানান, তিনি আছেন। এসময় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট জড়িত আইনজীবীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। পরে হাইকোর্টের ভেতর থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় জামিন জালিয়াতিতে আইনজীবীদের নাম আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত। বলেন, এভাবে চলতে থাকলে সিল বানিয়ে জামিন দিয়ে দিতে পারেন আইনজীবীরাই।

সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো জালিয়াতির ঘটনা ঘটে, তবে খুঁজে পাওয়া যায়নি জড়িতদের। এই প্রথম কোনো আইনজীবীকে সরাসরি জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকার ঘটনায় গ্রেপ্তার হতে হলো।

বার্তাবাজার/ই.এইচ.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর