রাজধানীতে বান্ধবীকে ভিডিও কলে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর আত্মহত্যা

রাজধানীর শাহজাহানপুরে রুমমেট বান্ধবীকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রুবিনা ইয়াসমিন নদী নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। বুধবার (২৩ জুন) বিকালে রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত নদী বরগুনার বেতাগী উপজেলার পুলিশ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের মেয়ে। তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতেন। পাশাপাশি শাহজাহানপুর মালিবাগের ৩৯১ গুলবাগে মারিয়ম নামের এক বান্ধবীর সঙ্গে পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাটে সাবলেট থাকতেন। বান্ধবী মারিয়ামের সাথে আমজারা নামের একটি বোরকা তৈরির কোম্পানীতে চাকরি করতো নদী।

এ বিষয়ে মারিয়াম জানান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে পড়াশোনা করতো নদী। সহপাঠি সায়েমকে প্রেম করে ২০১৯ সালে বিয়ে করে সে। ৩ মাস পরে ছেলের চারিত্রিক সমস্যার কারণে তাদের বিচ্ছেদ হয়।

তিনি আরও বলেন, সে আজ (বুধবার) কাজে যায়নি। আমি কাজে চলে যাই। বিকেল ৩টার সময় ফোন করে সে জানায়, আমার ভালো লাগছে না, তুই দ্রুত চলে আয়, আমি মরে যাব। পরে ভিডিও কলে সে দেখায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচাচ্ছিল। পরে দ্রুত চলে যাই; গিয়ে দেখে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় ছিটকানি ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেই। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত বলে জানান।

নদীর খালাতো বোন শরিফা জানান, বিচ্ছেদের পরও বিভিন্ন সময় রুবিনার বান্ধবী মারিয়মের ফোনে তাদের বিশেষ মুহুর্তের ছবি ভিডিও পাঠাত ওই ছেলে। সে (মারিয়ম) তা রুবিনাকে দেখাত। পরে তা ডিলিট করে দিয়েছিল। এসব নিয়ে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে থাকত।’ তিনি দাবি করেন, ‘ওই ছেলেটির এসবের কারণেই সে (রুবিনা) এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সবুজবাগ ডিভিশনের সহকারী কমিশনার (এসি) মনতোষ বিশ্বাস বলেন, ঘটনা শুনেছি। প্রাথমিকভাবে শুনেছি সে আত্মহত্যা করেছে। প্রকৃতপক্ষে আত্মহত্যা না অন্য কিছু, তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

বার্তা বাজার/এসজে