৫ টাকা কেজি মরিচ, বিপাকে কৃষক

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজারে পাইকারি আড়তে কাঁচা মরিচের দাম ৩ থেকে ৫ টাকা কেজি। মরিচ তোলা এবং পরিবহন খরচ ৭ টাকা হলেও বিক্রি করতে হচ্ছে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকায়। তাই রাগে কষ্টে কেউ কেউ মরিচ বিক্রি না করে ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ ও জানিয়েছেন। ফলে কাঁচা মরিচ নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাষীরা।

এছাড়া প্রতিদিন মরিচ না তুলতে পারলে মরিচের ফলনও কমে যাবে বলে বাধ্য হয়েই মরিচ তুলছে কৃষক।

সোমবার(২১ জুন) ও মঙ্গলবার(২২ জুন) উপজেলার সবচেয়ে বড় মরিচের পাইকারি বাজার ঝিটকাতে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক ঠিকমতো মরিচ তুলতে না পারলেও অল্প কিছু মরিচ নিয়ে আসছেন। সেই মরিচ ও দাম পাচ্ছেন না তারা। অনেকে বিক্রিও করতে পারছেন না। তাই ন্যায্য মূল্য এবং ক্রেতা না পেয়ে ক্ষোভে দুঃখে অনেকে মরিচ বিক্রি না করে বাজারের পাশে ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর হরিরামপুরে ১২৬৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। উপজেলার বাল্লা, গালা আর গোপীনাথপুর ইউনিয়নে মরিচের বেশি চাষ হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছে উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নে।

উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের বাস্তা এলাকার মরিচ চাষী আজাদ জানান, ১০ বিঘা জমিতে ২ ভাই মিলে মরিচ চাষ করেছেন। মাস খানেক আগে ১২ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত মরিচ বিক্রি করলও এখন ৫ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাদের প্রতি কেজি মরিচ তুলতেই খরচ হচ্ছে ৫ টাকা। পরিবহন খরচ কেজি প্রতি ১ থেকে ২ টাকা। প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ কেজি মরিচ বিক্রি করতে পারেন তিনি।

এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফ্ফার মুঠোফোনে জানান, এ বছর হরিরামপুরে ১২৬৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। আগের চেয়ে উপজেলায় মরিচের উৎপাদন অনেকগুনে বেড়েছে। সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট এর দিকে নজর দিলে আমরা এ সমস্যা থেকে উৎরাতে পারবো বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

মিলন মাহমুদ/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর