নির্দেশনা অমান্য করে চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘বেতন-ফি’ নেওয়ার অভিযোগ!

বিশ্বব্যাপী করোনার ২য় ঢেউ মোকাবেলায় গোটা বাংলাদেশও হিমশিম খাচ্ছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনার উদ্ধগতি যখন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরাতেও করোনা মহামারি অবস্থা ভয়াবহ হওয়ায় ৩য় সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলছে।

এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য ও মহামারিকে উপেক্ষা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন-ফি নেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন বাবদ ৪৬০ ও রেজিস্ট্রেশন বাবদ আরো ২৫০ টাকা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের বেতন-ফি জন্য টাকা নিচ্ছে শিক্ষকরা। করোনা কালে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে টাকা জোগাড় করা খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তবুও শিক্ষকরা ডেকে এনে টাকা আদায় করছে।

স্থানীয় শিক্ষার্থীদের অনেক অভিভাবক নামপ্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করে জানান, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গত একবছরের বেশি সময় সারাদেশের মতো চাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত করে ‘দ্রুত সময়ের মধে ৬ মাসের বেতন-ফি নেওয়ায় অভিভাবকরা কষ্টে আছে। আমরা এ অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান জানান, টাকা আদায়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তিনি এ টাকা তুলছেন।

প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, নবম শ্রেণি ছাড়া আর কোনো ক্লাসে টাকা নেওয়া হচ্ছে না। অপরএক প্রশ্নের জবাবে শ্রেণীর টাকা নেওয়ার কথা হলেও এখনো কেউ দেয়নি। তবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি দায় এড়িয়ে যান।

জেলা শিক্ষা অফিসার এস, এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, করোনা কালে বেতন-ফি নেওয়া অনুমতি নেই। তবে নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ১৯৫ টাকা বোর্ড থেকে নির্ধারণ করা।

মীর খায়রুল আলম/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর