স্পোর্টস রিপোর্টার: বারের বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করে দেখানোর টার্গেট নিয়েছিলেন সাকিব। নিজেদের প্রথম ম্যাচ থেকে নিজের কথা রেখে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার। ৬ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৪৭৬ রান। বল হাতে ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর আগে কোনো ক্রিকেটারই এক টুর্নামেন্টে এমন অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখাতে পারেনি। এখনই তাকে টুর্নামেন্ট সেরা ঘোষণা করে দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এখনো যে বেশ খানিকটা পথ বাকী।
১৯৯২ বিশ্বকাপ থেকে টুর্নামেন্ট সেরা পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। প্রথমবারই ৪৫৬ রান করে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান মার্টিন ক্রো। তার দল হেরেছিল সেমিফাইনালে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি সনাথ জয়াসুরিয়া ২২১ রান ও ৭ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হন। তার দল বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যান্স ক্লুজনার ২৮১ রানের পাশাপাশি ১৭ উইকেট নিয়ে এই সম্মান জিতেন।
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো, বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরা হতে হলে অন্তত সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে হবে সেই ক্রিকেটার এবং তার দলকে। হ্যাঁ, এমনটাই আইসিসির অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে। সুতরাং সাকিবকে টুর্নামেন্ট সেরা হতে হলে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে উঠতে হবে। সেই সুযোগ এখনও জ্বলজ্বল করছে টাইগারদের সামনে। বাংলাদেশ সেমিতে উঠতে না পারলেও সাকিবের পারফর্মেন্স সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে। সাকিবের পারফরম্যান্সই বলছে, বিশ্বকাপের এক আসরে ব্যাটে-বলে এমন ‘ওয়ান ম্যান শো’ এর আগে দেখা যায়নি।