ইউনিয়ন পরিষদের ভবন এখন ধান শুকানোর চাতাল

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ১নং কুসুম্বী ইউনিয়ন পরিষদের কয়েক বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ শাহ আলম পান্না ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি বানিয়ে ফেলেছেন তার ব্যক্তিগত সংসারের ধানের চাতাল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ওই ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদের ছাদ, বারান্দা ও গ্রাম আদালত কক্ষের মেঝেতে রীতিমতো লোকজন লাগিয়ে ধান শুকিয়ে নিচ্ছেন। এতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে পরিষদে নানা কাজে সেবা নিতে আসা জনসাধারণদের।

সোমবার (২১ জুন) বিকেল ৩ টার দিকে সরেজমিনে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের ছাদে ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছে কয়েকজন কৃষক। দেখে মনে হচ্ছে এটা কোন ধান শুকানোর চাতাল। শুকানো ধান বস্তায় তুলে রাখা হয়েছে পরিষদের গ্রাম আদালতের কক্ষে। ওই পরিষদে কর্মরত অফিস স্টাফের চাইতে ধান শুকানোর শ্রমিকই বেশি রয়েছে।

এতে বিড়ম্বনার স্বীকার হচ্ছে পরিষদে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। উপজেলার পশ্চিম সীমান্তবর্তী এই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটিতে ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও রয়েছে ইউনিয়ন ভূমি অফিস, কৃষক তথ্যসেবা কেন্দ্র, মৎস্য পরামর্শ কেন্দ্র, প্রাণিসম্পদসহ বেশ কয়েকটি দপ্তরের অফিস। ধান শুকাতে দেয়ায় এসব সেবা প্রত্যাশীরা দুর্ভোগে পড়ছেন প্রতিনিয়ত।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে উপস্থিত তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্ত মো. এনামুল হক জানান, কয়েকদিন হলো চেয়ারম্যান সাহেবের ৭ বিঘা জমির ধান শুকানো হচ্ছে পরিষদের ভবনেই। এজন্য ভবনের ছাদ, নিচতলার বারান্দা এবং গ্রাম আদালতের কক্ষের মেঝে ব্যবহার করা হচ্ছে। কয়েকজন শ্রমিক ধান শুকানোর কাছে নিয়োজিত আছেন তারা সার্বক্ষণিক দেখভাল করছেন। এদিকে ভবনজুড়ে ধান শুকাতে দেয়ায় ইউনিয়ন পরিষদে আগত সেবাপ্রার্থীদের নানা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে কুসুম্বী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. নজরুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান সাহেব ভবনের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকাতে দিয়েছেন। আমি কালও নিষেধ করেছি। কিন্তু শুনছেন না।

এ ব্যাপারে ১নং কুসুম্বী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম পান্নার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিষয়টি নিয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ময়নুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

রাশেদুল হক/বার্তাবাজার/এফএইচপি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর