প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে

শিশুদের জন্য দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত আসনের খোজেদা নাসরিন আক্তার হোসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঝড়ে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করার লক্ষ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় করে শিশুদের বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

নিজাম উদ্দিন জলিলের (জন) প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে দেশের বেশিরভাগ জেলা শহরে পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।’

সরকারি দলের সংসদ সদস্য (এমপি) মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা টাস্টের আওতায় ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্নাতক ও সমপর্যায়ের ১০ লাখ ২৮ হাজার ৮৮০ জন শিক্ষার্থীকে ৬৫৩ কোটি ৭০ লাখ ২১ হাজার ১২০ টাকা উপবৃত্তি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ লাখ ৪০ হাজার ৬২ জন নারী।

ঢাকা–১১ আসনের এমপি এ কেএম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, সরকারি সুবিধাভোগী কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বাবদ ৩০০০ টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। সরকার নির্ধারিত চার্জের বাইরে কোনও অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ করতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম–১১ আসনের এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থায়ী ক্যাম্পাসে গেলে তাদের পরিচালন ব্যয় কমে যাবে। এতে ছাত্রছাত্রীদের বেতন কমানো সহজ হবে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে বৈষম্য অনেকাংশে দূর হবে।’

এম আবদুল লতিফের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, গত ১০ বছরে (২০১০-২০১৯) ২৯৬ কোটি ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৭২টি বিনামূল্যের বই বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে ২৯৫ কোটি ১ লাখ ২০ হাজার ৭৮৪ কপি পাঠ্যবই ও শিক্ষকদের মাঝে এক কোটি ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষক নির্দেশিকা বিতরণ করা হয়েছে।

সংরক্ষিত আসনের বেগম হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ১ শতাংশ থেকে বর্তমানে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২০ সালে ভর্তির লক্ষ্যমাত্রা ২০ শতাংশে উন্নীত করতে কারিগরি শিক্ষায় আসন ২৫ হাজার থেকে ৫৭ হাজার ৭৮০টিতে উন্নীত করা হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, সরকারি ও বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০১৮ সালে ৭ লাখ ১২ হাজার ২০৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া, ২০১৯ সালে ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৬ জন ও ২০২০ সালে ২০ লাখ ১৫৯ জন ভর্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর