ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে নিয়ে আজহারীর আবেগঘন স্ট্যাটাস

বান্দরবানে ত্রিপুরা উপজাতি থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর মসজিদ নির্মাণ ও ৩০টি পরিবারকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করায় খুন হওয়া ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন আলোচিত ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।

সোমবার (২১ জুন) বিকাল ৩টা ২৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে আজহারী লিখেন, পাহাড়ী দ্বা’য়ী— শহিদ ওমর ফারুক ত্রিপুরা। হলদে দাঁতের মিষ্টি হাসিতে ইমানি আভা যেন ঠিকরে পড়ছে। আল্লাহ তা’আলা তাকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নিন।

পাহাড়ী এলাকায় খৃস্টান মিশনারির যেমনি দ্বীন প্রচারের অধিকার আছে, মুসলিমদেরও অধিকার আছে শান্তিপূর্ণভাবে ইসলাম প্র্যাকটিস ও প্রচারের। ইসলাম গ্রহন, ইসলাম প্রচার এবং মসজিদ নির্মাণ কি অপরাধ? কিন্তু এই অপরাধেই জীবন দিতে হয়েছে ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করছি।

পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি কামনা করছি। দেশের চারপাশে সকল পাহাড়ী এলাকায় স্থায়ী সেনা ক্যাম্প থাকা প্রয়োজন। এসব অঞ্চলে মুসলিমদের দাওয়াতি এক্টিভিটিও বাড়াতে হবে। তাওহিদের সুমহান বাণী ছড়িয়ে পড়ুক পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ে পাহাড়ে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৮ জুন) বান্দরবানের রোয়াংছড়ি সদরের তুলাছড়ি আগাপাড়ায় ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। নিহত ওমর ফারুক একই এলাকার বাসিন্দা। তিনি ইসলাম গ্রহণের আগে পূর্ণচন্দ্র ত্রিপুরা নামে পরিচিত ছিলেন। তার বাবার নাম তয়ারাম ত্রিপুরা।

পুলিশ জানিয়েছে, তুলাছড়ি আগা পাড়া মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

জানা যায়, ২০১৪ সালে ওমর ফারুক বন্ধুর সান্নিধ্যে থেকে ইসলাম গ্রহণ করেন। তারপর নিজের দুর্গম এলাকায় গড়ে তুলেন একটি মসজিদ। চালিয়ে যেতে থাকেন ধর্ম প্রচারের কাজ। বিধর্মীদের মাঝে ইসলাম প্রচারের কারণে নানা দিক থেকে আসতে শুরু করে হুমকি। তবুও তিনি দমে যাননি।

তার অদম্য মনোবলের কারণে নিজের পরিবার ছাড়াও রোয়াংছড়িতে তার মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণ করেন ৩০টি উপজাতি পরিবার। তাকে হত্যার মাধ্যমে পাহাড়ে ইসলাম প্রচারের গতি কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করছেন নওমুসলিম ৩০টি পরিবার। ওমর ফারুকের নিজেরসহ ওই পরিবারগুলোর সবই এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।

স্থানীয় লোকজন দাবি করছেন, ত্রিপুরা গোত্রের লোক হয়েও ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করায় সশন্ত্র সন্ত্রাসী একটি গ্রুপ ওমর ফারুককে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। হত্যাকাণ্ডের সাথে পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তার করা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো জড়িত আছে।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর