ডাক্তার-নার্সদের হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিল পরিশোধ করেনি ঢাকা মেডিক্যাল

করোনাকালীন সময়ে নিজেদের ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য ভাড়া নেওয়া ৩০টি হোটেলের ৩ মাসের পাওনা বিল পরিশোধ করেনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ১১ মাস ধরে এই বকেয়া আটকে আছে।

রোববার (২০ জুন) কোয়ারেন্টাইনে সেবা দিতে ঢামেক কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া হোটেলের মালিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশন তাদের পাওনা আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিবের কাছে একটি আবেদন করেছেন।

এ বিষয়ে সংগঠনের কো- চেয়ারম্যান খালেদুর রহমান বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো এখনো বন্ধ আছে। ফলে আমাদের এই খাতে ধস নামে। কোনো বিদেশি অতিথি না থাকায় হোটেলগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকেরা হোটেলগুলোতে কোয়ারেন্টিন সেবা নেওয়ায় আমরা কিছুটা আশার আলো দেখতে পেয়েছিলাম। তবে বিল বকেয়া থাকায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আমাদের হোটেলের কর্মীরাও আট মাস ধরে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এজন্য
বকেয়া না পাওয়ায় ডেসকো, ওয়াসাসহ পাওনাদারদের বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

সোমবার (২১ জুন) বকেয়া আদায়ের দাবিতে ৩০টি হোটলের পক্ষ থেকে ঢামেক পরিচালকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া কথা রয়েছে ঢামেক প্রশাসনিক ভাবনের সামনে একটি মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হতে পারে।

এসব বিষয়ে ঢামেক পরিচালক নাজমুল হক বলেন, হোটেলের বিল পরিশোধ নিয়ে গত বছরে নিরীক্ষায় আপত্তি আসে। এ ক্ষেত্রে অনুমোদন নিতে হবে। গত বছরের জুলাইয়ে বিল পরিশোধের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। এখনো পাওয়া যায়নি। কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টির একটি সমাধান হবে বলে আমি আশা করছি।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর