পানি খাওয়াতে বলে স্কুলছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ, অভিযুক্ত কারাগারে

কুড়িগ্রামের উলিপুরে পানি খাওয়াতে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে অভিযোগে একজনকে আটকে করেছে উলিপুর থানা পুলিশ। ধর্ষণে শিকার মেয়েটি চার মাসের অন্তসত্ত্বা বলে জানা যায়।

এ ঘটনায় ওই মেয়ের পিতা বাদী হয়ে শনিবার (১৯ জুন) রাতে থানায় মামলা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুল ছাত্রী (১৪) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশুনা করেন। গত ০৭ ফেব্রুয়ারী দুপুরে ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে পাশ্ববর্তী একটি মুদির দোকানে সাবান আনতে যান।

এ সময় প্রতিবেশী মোজাম্মেল হকের বাড়ির কাছে পৌছালে তার পুত্র রুবেল ইসলাম বকুল বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই ছাত্রীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হাতে গ্লাস ধরিয়ে দিয়ে টিওবওয়েল থেকে পানি আনতে বলে ফাঁকা ঘরে বসে থাকেন।

রুবেল ইসলাম বকুল বিবাহিত এবং সম্পর্কে ওই স্কুল ছাত্রীর প্রতিবেশী ভাই। স্কুল ছাত্রী পানির গ্লাস তাকে দেয়ার সময় বকুল তাকে কু-প্রস্তাব দেন। এতে ছাত্রী রাজি না হলে বকুল তাকে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষনের ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি দেন।

পরবর্তীতে রুবেল ইসলাম বকুল ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষনের বিষয়টি স্কুল ছাত্রী গোপন রাখে।

বর্তমানে ওই ছাত্রীর চলাফেরা ও শারীরিক গঠন অস্বাভাবিক হলে তার মা ও বাবা তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে ধর্ষনের ঘটনা খুলে বলে। পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় এক ডাক্তারের কাছে ওই ছাত্রীকে নিয়ে গেলে তিনি শারীরিক পরীক্ষা করে চার মাসের অন্তসত্ত্বা বলে জানান।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা শনিবার (১৯ জুন) রাতে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগে রুবেল ইসলাম বকুলকে আসামী করে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে আটক করেন।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির জানান, ধর্ষনের ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে রোববার (২০ জুন) আদালতের মাধ্যমে প্রেরণ পাঠানো হয়েছে। ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পূর্ণ করার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শিমুল দেব/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর