মসজিদে তালা দিয়ে জমি দখল, মুসুল্লীদের নামাজ আদায় বন্ধ

বগুড়ার শেরপুরের আম্বইল- গোরতা এলাকায় মসজিদে তালা দিয়ে প্রতিপক্ষের জমি দখল করে বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে।

এদিকে মসজিদ বন্ধ করে দেয়ায় এলাকার শত শত মুসুল্লীরা তাদের নামাজ আদায় করতে পারছেন না। মসজিদ ও বাড়িঘর অবমুক্ত করতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ছোনকা গ্রামের হাতেম আলী সেখের ছেলে আজিজুল হক একই ইউনিয়নের আম্বইল-গোরতা দুই মৌজার মধ্যে মসজিদসহ ২ একর ৩৬ শতক ও ৮ একর ৭৮ শতক জমি দলিলমুলে ক্রয় করেন। এদিকে ওই জমিতে থাকা পুরাতন মসজিদটি গত ২০১৩ সালে পুনঃসংস্কার করে এবং বৈদ্যুতিক লাইনের সংযোগ লাগিয়ে নামাজের উপযোগী করে তোলেন। এতে ওই মসজিদে নামাজ আদায় করে আসছিল এলাকার শত শত মুসুল্লীরা।

এদিকে ওই মসজিদ ও আজিজুল হকের ক্রয়কৃত সম্পত্তি এবং বাড়িঘর আদিবাসীদের সম্পত্তি বলে দাবী করে জোরপূর্বক বেদখল দিতে মরিয়া হয়ে উঠে একই এলাকার ভূমিদস্যু মৃত আয়েন উদ্দিন সরকারের ছেলে সাইফুল সরকার, মৃত হবিবর শেখের ছেলে নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে কতিপয় আদিবাসী গজেন, যুগেশ, কারুনি সিং, সন্তোষ সিং, পঙ্গেস, আনোয়ার, কমল সিং, সুদিল সিং।

এরই জের ধরে ওই জমিসহ বাড়িঘর বেদখল দিয়ে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেয় ভূমিদস্যুরা। এদিকে ওই জমি বাড়িঘর ও মসজিদের দখল ফিরে পেতে এবং দখলবাজদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে জেলাপ্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীসহ সাধারণ মুসুল্লীরা।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আজিজুল হক বলেন, ওই এলাকায় প্রকৃত মালিকদের কাছ থেকে জমি রেজিষ্ট্রি দলিল করে নিয়েছি। যাহার উপরে পুরানো মসজিদ সংস্কার ও বিদ্যুতের সংযোগ করা হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে মুসুল্লীরা নামাজ আদায় করে আসছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় কোন দলিলপত্র ছাড়াই বাড়িঘর ও জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়ে মসজিদে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

এদিকে আদিবাসি নেতা যোগেশ চন্দ্র সিং বলেন, আম্বইল ও গোরতা মৌজায় আদিবাসীদের অনেক জমিই রয়েছে। তবে সৃষ্ট মসজিদ ও জবর দখল হওয়া সম্পত্তিতে প্রতিপক্ষদের (আদিবাসীসহ) নামে কোন জমি নেই। কেবল দখল দিয়ে কিছু অর্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে কতিপয় ব্যক্তিরা।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইতিপূর্বে আমার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করলে, শালিশী বৈঠকে ওই মৌজার জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আজিজুল হকের নামে দলিল রেজিষ্ট্রি কাগজ দেখাতে পারলেও প্রতিপক্ষরা তাদের কোন মালিকানার কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

রাশেদুল হক/বার্তা বাজার/টি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর