দুর্বৃত্তদের হামলায় আহতদের নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দুই পক্ষের

কক্সবাজারের টেকনাফে দূর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে দুই যুবক। আহতদের একজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অপর জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরন করা হয়েছে। এই ঘটনায় পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে।

আহতরা হলেন, হ্নীলা ঊলুচামরীর শওকত আলীর পুত্র মোঃ সওয়ার (৩২) এবং উলুচামরী লামার পাড়ার ছৈয়দ নুরের পুত্র মোঃ নুর (৩৫)।

১৯জুন (শনিবার) রাত সোয়া ১০টা নাগাদ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালীএ্যাকোয়া কালচার সংলগ্ন প্রধান সড়কের ব্রীজের উপর এই ঘটনা ঘটে। এই একাটি ইয়াবা পাচারের একটি নিরাপদ এলাকা বলে স্থানীয়দের মাঝে পরিচিত।

আহতের স্বজনরা ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার বিরোধী প্রার্থীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবী করলেও এটি মাদক সংক্রান্ত ঘটনার জেরধরে এই হামলা ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা স্থানীয়দের।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, শনিবার রাতে এক বন্ধুকে জাদিমোরা নয়াপাড়াস্থ বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে হ্নীলা এ্যাকোয়া কালচার সংলগ্ন প্রধান সড়কের ব্রীজে মুখোশধারী দূবৃর্ত্তরা মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায়। হামলাকারীরা মোটর সাইকেল আরোহী মোহাম্মদ নূর কে কুপিয়ে হাতের কব্জি অনেকটা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং সরওয়ারকে পায়ে গুলি করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নিক্টস্থ একটি এনজিও পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আজ (রোববার) দুপুরে মোঃ নুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।

আহতদের স্বজন তারেক মাহমুদ রনি এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হামলা। আহত দুই জনই নৌকার প্রার্থীর কর্মী এবং নিকট আত্বীয়। হামলার পেছনে হ্নীলা ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী এক প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

এদিকে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, আলীখালী ও রঙ্গীখালী রাস্তার মাথা নামক একাটি মাদক কারবারী ও রোহিঙ্গা ডাকাতদের অপরাধের নিরাপদ এলাকা। এই এলাকায় বিগত সময়ে মাদক পাচারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। প্রায় সময় রোহিঙ্গাদের দ্বারা ডাকাতিও হয়ে থাকে।

তারা আরো জানান, আহত সরওয়ার একজন মাদক কারবারী। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে। দ্বীর্ঘদিন হাজতবাস শেষে সে জামিনে বেরিয়ে আসে। এসে আবার মাদক কারবারীদের সাথে হ্নীলা একটি বৌদ্ধ মন্দিরে প্রতিরাতে মাদকের আসর বসানোর অভিযোগও উঠে এসেছে।

অপরদিকে সুত্র জানিয়েছে, মোঃ নুর একজন সাবেক জামায়াত শিবরের ক্যাডার। এক সময় সে এলাকায় ত্রাস ছিলো। মাদক কারবারীদের মাদকের চালান পাচারের কাজ নিয়ন্ত্রন করতো। পরবর্তিতে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলীর পৃষ্টপোষকতায় এলাকায় ভয়ংকর জীবন যাপন শুরু করে।

হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলীর সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে, ব্যস্ততার কারনে তিনি পরে যোগাযোগ করবেন বলে ফোন কেটে দেন।

হ্নীলা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক কামাল জানান, আমি একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান। যারা আহত হয়েছে তাদের একজন এলাকার চিহ্নিত ইয়াবাকারবারী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভূক কারবারীদের স্বজন ও অপরজন জামায়াত ক্যাডার। আসন্ন নির্বাচনে আমার জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে এক তরফা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান,
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদেও বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বার্তাবাজার/এফএইচপি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর