আজ বাবা দিবস, বাবারাই সত্যিকারের ‘দি বস’

আজ জুন মাসের তৃতীয় রোববার, বিশ্ব বাবা দিবস। বিশ্বের প্রায় ৭৪টি দেশে পালিত হচ্ছে এই দিনটি। প্রতিটা মানুষের মায়ের গর্ভে প্রথম প্রাণের সঞ্চার হওয়ার আগে থেকেই পিতার অবদান লেগে থাকে। অনাগত সন্তানের চিন্তায় পিতায়ও থাকেন তটস্থ। সন্তান জন্মের পর তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় আরও বেশি মগ্ন থাকেন একজন বাবা।

আজ সেই মহান মানুষটাকে উতসর্গ করে একটা দিন। কেউ কেউ বলে থাকে ‘শুভ হোক বাবা দিবস, কারণ বাবারাই দ্যি বস’। যদি এটাই ভাবতে হয়, তাহলে সত্যিই বাবারা একেকজন বস। দুনিয়ার আর দশটা জায়গায় না হোক, সন্তানের কাছে তার বাবাই রাজা। তার বাবাই একজন দুনিয়াজয়ী আলেকজান্ডার কিংবা মহাকাশ জয়ী নভোচর।

ধর্মে পিতাকে নিয়ে আছে নানা আদেশ। মুসলিমদের পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তাদের সঙ্গে উহ! শব্দ পর্যন্ত করো না’। হিন্দুদের মন্ত্রে বলা হয়েছে- ‘পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাহী পরমং তপঃ, পিতরী প্রিতিমাপন্নে প্রিয়ন্তে সর্বদেবতা’।

সর্বদেবতা পিতাকে নিয়ে লিখতে গেলে সন্তানের অনেক আবেগ আর ভালোবাসা নিঙরে আসবে। বাবার অবদানের কথা বলতে গেলে শেষ হবেনা। চোখের কোণে কৃতজ্ঞতার জলও উঁকি দিতে পারে। বাবা মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সন্তানের জীবনের পেছনে বাবার অবদান কখনও হিসেব করার যায় না। এই হিসেব ফুড়াবার নয়, এই হিসেব শোধ করার নয়। সেই বাবার প্রতি সম্মান জানাতে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বাবা দিবস।

ইতিহাস বলে, প্রথমবারের মত বাবা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল ১৯০৮ সালে। মার্কিন মুল্লুকের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে জুলাই মাসের ৫ তারিখ এই দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন নির্ধারণ করেন প্রতি জুন মাসের তৃতীয় রোববার পালন হবে এই দিবস। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিচার্ড নিক্সন। তিনি জাতীয় পর্যায়ে বাবা দিবস পালন শুরু করেন।

এই শতাব্দীতে এসে বেড়েছে তথ্য প্রযুক্তির প্রসার। আগের মত কার্ড দিয়ে কিংবা সাধারণ উপহার দিয়ে ঘরের কোণে এখন আর বাবা দিবস থমকে নেই। ইন্টারনেট, স্যাটেলাইটের কল্যাণে বাবা দিবস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের সবখানে। সবাই এখন জানে বাবাকে সম্মান জানিয়ে বছরে একটি দিবস আছে। মেকি হোক আর আসল হোক। সেদিন সবাই বাবাকে ভালোবাসে প্রাণ উজাড় করে।

বাংলাদেশের মানুষের মাঝেও দিবসটি নিয়ে বেশ সাড়া পাওয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে বাবাকে শুভেচ্ছায় ভাসায় সন্তানেরা। অনেকে যোজন মাইল দূর থেকে বাবার ছোঁয়া না পেয়ে কাৎরায়, অনেকে আবার হাতের নাগালে পড়ে থাকা বাবার আঙ্গুল ছুঁয়েও দেখে না। কিন্তু বাবা আছেন। আমাদের সবটা জুড়েই আছেন। বাবাদের চিরন্তন বাণী- ‘আগে বাবা হও পড়ে বুঝবে’র মত আছেন।

বার্তা বাজার/এসজে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর